শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুরে বিরূপ আবহাওয়ায় ৩ দিনে সাড়ে ৩শ’ রোগী ভর্তি

বর্ষা মৌসুমে রোদ বৃষ্টিতে ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ।

৭ জুলাই থেকে ৯ জুলাই এ ৩দিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। আর এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা।

সোমবার (৯ জুলাই) দুপুরে সরকারি হাসপাতালের ২য়, ৩য়, ও ৪র্থ তলার শিশু, পুরুষ ও মহিলা বিভাগে গিয়ে দেখা যায় ওইসব বিভাগের বেডে এবং মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবার জন্য রোগীরা শুয়ে আছেন। সবগুলো বিভাগের ওয়ার্ডের সব ক’টি বিছানা ও মেঝের বিছানা পরিপূর্ন হয়ে অনেক রোগীর জন্যে বাহিরের বারান্দায় বিছানা পাতা হয়েছে।

অতিরিক্ত রোগীর চাপে এভাবেই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ক্ষনে রোদ, ক্ষনে বৃষ্টি এমন আবহাওয়ার কারনে জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও শিশুসহ অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে অনেকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে চলে যান বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে কখনো কড়া রোদ কখনো বৃষ্টি, এমন গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত তিন দিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে।

হাসপাতালের রেজিষ্টার খাতার তথ্যমতে গত ৭ জুলাই শিশু ওয়ার্ডে সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৪৫ জন, ৮ জুলাই ভর্তি হয়েছে ৫৬ জন এবং সোমবার ৯ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২০ জন শিশু রোগী।

৭ জুলাই মহিলা বিভাগে সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন, ৮ জুলাই ৪৯ জন ও ৯ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫ জন। পুরুষ ওয়ার্ডে ৭ জুলাই সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন, ৮ জুলাই ২৮ জন এবং ৯ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯ জন পুরুষ রোগী। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই জ্বর, সর্দি, কশিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়েছেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আবহাওয়ার কারনে মানুষজন বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। দেখাযায়, কখনো প্রচন্ড রোদ, আবার কখনো বৃষ্টি এমন আবহাওয়ার কারনে মানুষজন জ্বর, সর্দি, কাশিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

তাছাড়া যারা একটু উঠতি বয়সী তাদের ক্ষেত্রে পেটব্যথা অথবা পাতলা পায়খানাটা একটু বেশি দেখা দেয়। তিনি বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছাড়াও অনেক রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আউট ঢোর থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি

Share