চাঁদপুরে বিদ্যুৎতের অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শহরবাসী। অকারনে অকারনে ক্ষনে ক্ষনে বিদ্যুৎ বিছিন্ন করছেন কর্তপক্ষ। এ কারনে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে হয়রানিতে ভোগছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকগন।
গত কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে চাঁদপুর পৌরসভাধীন শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে দিন এবং রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত ১০/১২ বার বিদ্যুৎত লোড শেডিং করছেন।বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগের এ অনিয়মটি বেড়ে যায়। তারা কোন ঝড়, বৃষ্টি কিংবা বড় ধরনের কোন কারন ছাড়াই প্রতিদিন নিয়মিত ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ বিছিন্ন করছেন। এছাড়া দেখা গেছে প্রাকৃতিক কারনে আকাশ একটু মেঘলা হলে কিংবা সামন্য কয়েকটি বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে না পড়তেই ঘরের বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে যায়।
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, নাজির পাড়া, মাদরাসা রোড, পাল পাড়া, বট তলা, খান সড়ক, দর্জিঘাট, চেয়ারম্যান ঘাটা, বাসস্ট্যান্ট, মিশন রোড সহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের, জুলাস মিজি, আনোয়ার বেপারী, নান্নু মিয়া, নবীর হোসেন, দেলোয়ার খান সহ একাধিক ব্যাক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, গত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তপক্ষ বিদ্যুৎতে সীমাহীন লোড শেডিং করছেন। বড় ধরনের কোন কারন ছাড়াই তারা ক্ষনে ক্ষনে বিদ্যুৎ নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন কম করে হলেও অন্তত ১০/১২ বার বিদ্যুৎ নেয়া হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, দেখা গেছে সকাল ৬/৭ টার দিকে যদি একবার বিদ্যুৎ নিয়ে যায়, প্রায় দেড় দুই ঘন্টা পর সেই বিদ্যুৎ দিলেও তার আধাঘন্টা কি এক ঘন্টা পর আবার নিয়ে যান। আবার দেখা গেছে দিন এবং রাতের বিভিন্ন সময় আধাঘন্টা অথবা ১০/ ৫ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ নেন। এখন প্রচন্ড গরম মৌসুম। এই সময়ে অনেকেই ফ্যান চালিয়ে থাকেন, এছাড়াও বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ লোকজন বাসা বাড়িতে সময় কাটান।
অনেক বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকলে একদিকে যেমন গরমে ভোকান্তিতে পড়তে হয় অন্যদিকে বিভিন্ন বাসা বাড়ি গুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হয়। চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের এমন অনিয়মের কারনে হয়রানি এবং চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শহরবাসী। এমন সীমাহীন হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুৎতের লোড শেডিং থেকে মুক্তি চায় শহরবাসী। এজন্য এবিষয়ে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম ইকবালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে বলেন, গাছ পালার কারনেও ঘন, ঘন লোড শেডিং হতে পারে।
কিন্তু যখন বলা হলো , এখন তো কোন প্রকার ঝড় বৃষ্টি নেই, তাহলে ঈদের পর থেকে প্রতিদিন ১০/১২ বার বিদ্যুৎ নেয়া হচ্ছে কেনো? বিশেষ করে শনিবার সারাদিনও কোন ঝড় বৃষ্টি ছিলোনা, এদিনও সারাদিনে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ ছিলোনা। তার কারন কি?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কোন সময়টাতে আপনাদের এলাকায় লোড শেডিং হয় তা নির্দিষ্ট করে বললে তখন আমি তা দেখবো। কিন্তু উনাকে পূর্বের সময় গুলো নির্ধারণ করে দেয়ার পরেও তিনি কোন প্রকার গুরত্ব না দিয়ে লাইন কেটে দেন।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৮ জুন ২০২০