চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের চর বাগাদী পাম্প হাউজের সংরক্ষিত এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎসুক জনতা মাছ শিকার করছে। হঠাৎ কয়েক দিনে বৃর্ষ্টির কারনে বিভিন্ন জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাম্প হাউজ এলাকায় আসছে। আর এ মাছের লোভে এলাকার স্থানীয় শত শত জনগণ টেডা ও হাতে বানানো জাল নিয়ে মাছ ধরতে পাম্প হাউজের ভিতরে ভীড় করছে।
পাম্প হাউজটি সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ন ও সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও লোকজন কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে পাম্প হাউজের ভিতরে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে। পাম্প হাউজটির পশ্চিম পাশে বেড়িবাঁধের উপরে ব্রিজ থেকে পানিতে টেডা ছুড়ে মাছ ধরছে।
অন্যদিকে নিচেও শতশত মানুষ জাল ও টেডা দিয়ে মাছ ধরছে। অসাবধানতাবশত উপর থেকে ছোড়া টেডা নিচে থাকা লোকজনের গায়ে বিধলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। পাম্প হাউজটির পূর্ব দিকে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিভিন্ন বয়ছে মানুষ পাম্পের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ ধরছে।
শিশু থেকে কিশোর, যুবক থেকে বৃদ্ধ সকল বয়ষের মানুষ পাম্প হাউজটির নিরপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের কথা অমান্য করে মাছ শিকার করছে। বিগত কয়েকদিনই এভাবে শত শত মানুষ পাম্প হাউজের পূর্ব পাশে নৌকা নিয়ে এসেও মাছ শিকার করছে। পাম্প হাউজে দায়িত্বরত কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষিরা মাছ শিকারী এ জনতার ঢল সামলাতে হিমহিশ খাচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন (যান্ত্রিক পওর বিভাগ) বলেন, চর বাগাদী পাম্প হাউজটি কেপিআই ভূক্ত স্থাপনা। স্থাপনাটি অতিগুরুত্বপূর্ন হওয়ায় এখানে জনসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এ পাম্প হাউজটি দ্বারা ৫৩ হাজরি হেক্টরর এলাকা ড্রেনেজ ও ২৮ হাজার হেক্টর এলাকায় সেচের পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে পাম্প দিয়ে প্রজেক্টের ভিতরের পানি ড্রেনেজ করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ অতিবৃর্ষ্টির কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ পাম্প এলাকায় আসছে। আর এ মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন আনসারদের নিষেধ অমান্য করে পাম্প এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। লোকজনের এভাবে প্রবেশ রোধ করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি কিন্ত পাম্প হাউজের ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় লোকজনকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।
লোকজনের অবাধ প্রবেশে আমাদের পাম্প হাউজের জন্য ঝঁকিপূর্ন। কারন পাম্প হাউজ এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ন ইলেকট্রনিক ও মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশ রয়েছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
পাম্প হাউজের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বলেন, মাছ ধরতে পাম্প হাউজের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে লোকজন পাম্প হাউজ এলাকায় প্রবেশ করছে। আমরা তাদের অবাধ প্রবেশে বাধা দিচ্ছি কিন্ত তারা আমাদের কথা শুনছে না। এখানে সকাল থেকে শত শত মানুষ মাছ ধরতে আসছে, এদের মধ্যে বেশীরভাগ লোকজন স্থানীয় হওয়ায় আমাদের কথা শুনছে না।
প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,২৬ আগস্ট ২০২০