Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুতের দুর্বিষহ লোডশেডিং: দেড় মাস পর হবে সমাধান
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুতের দুর্বিষহ লোডশেডিং: দেড় মাস পর হবে সমাধান
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়- ছবি: চাঁদপুর টাইমস

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুতের দুর্বিষহ লোডশেডিং: দেড় মাস পর হবে সমাধান

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতায় হাজীগঞ্জ,শাহরাস্তি,কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি গত ক’মাসে চরম আকারে পৌঁছেছে।

এ বছররের মতো চরম লোডশেডিং গত ক’বছরে গ্রাহকরা দেখেনি বলে দাবি করেছেন পুরোনো একাধিক গ্রাহক।

ভোক্তভুগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাজারগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বসবাসরত সাধারন মানুষের ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন।

চলমান বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো.ইউসুফ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন ‘আগামি দেড় মাসের মধ্যে চলমান লোডশেডিং আর থাকবে না। চাঁদপুর থেকে সরাসরি হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বলাখালে ৩৩ মেগওয়াটের নতুন সাব স্টেশন চালু হলে চলমান বিদ্যুৎতের যে ঘাটতি তা পূরণ হবে।

বর্তমান চরম লোডশেডিং সম্পর্কে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতায় যে এলাকাগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন সে অনুযায়ী জাতীয় গ্রীড থেকে সরবরাহ পাচ্ছি না। দেখা যায় গত ২ দিনের সমিকরণে এ অঞ্চলের জন্য রাতের বেলায় বিদ্যুৎ পয়োজন ৪৫ মেগওয়াট, সেখানে পাচ্ছি মাত্র ২৪ মেগওয়াট বিদ্যুৎ। দিনের বেলায় প্রয়োজন ৩১ মেগওয়াট সেখানে পাচ্ছি মাত্র ২২ মেগওয়াট বিদ্যুৎ। তবে জাতীয় গ্রীডের এমন অবস্থা সব সময় না। অনেক সময় দেখা যায় চাহিদা অনুযায়ী ঠিকি বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি।’

গ্রামের মানুষের দাবি তারা গড়ে বিদ্যুৎ পাচ্ছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়ে এ কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘তাদের অংকের হিসাব জানা নাই তাই তারা এমন বদনাম দিচ্ছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি সকল স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখতে।’

জিএম আরো বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতায় পূর্বে যেসকল এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না সেই সকল এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন আর তেমন কোন এলাকা বাদ নেই বললেই চলে। সে অনুযায়ী আগামি দেড় মাসের মধ্যে বলাখালে নতুন ৩৩ মেগওয়াট বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন চালু হলে এ অঞ্চলের আর লোডশেডিং থাকবে না।’

‘ফরিদগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম হাজীগঞ্জ অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কামতা বাজার নতুন সাব স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করা হবে। ওই অঞ্চলের সংযোগ তখন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর আওতায় চলমান থাকবে। তাহলে ১ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবারহের চাহিদা পূরণে আর কোনো লোড শেডিং থাকবে না।’

একটি সূত্রে জানা যায়।জাতীয় পাওয়ার সেল বিদ্যুতের মহা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন গত কয়েক মাস ধরে বিশেষ করে চাঁদপুরবাসী যেন লোডশেডিংয়ে আওতা থেকে মুক্ত থাকতে পারে সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:০০ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুতের দুর্বিষহ লোডশেডিং: দেড় মাস পর হবে সমাধান

About The Author

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

Leave a Reply