ফিচার

নো মাস্ক নো সার্ভিস প্রচারণা : ডিসি এসপি ও মেয়রের নেতৃত্বে সাইকেল র‌্যালি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দেশের সকল জেলা উপজেলা সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টা ও স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। দেশের সকল জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন জনগণকে সচেতন করে গড়ে তোলার ও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তাই চাঁদপুরে জেলা প্রশাসনের ডাকে চাঁদপুরবাসীকে আরো সচেতন করার জন্যে ‘ নো-মাস্ক, নো-এন্ট্রি, নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস – এখন একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের দিক নির্দেশনায় চাঁদপুর জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, হাট-বাজারে, গণ সমাবেশে সচেতন করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধকল্পে জনগণকে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সচেতন করার লক্ষ্যে আজ ১৮ নভেম্বর জনসচেনতামূলক শতভাগ মাস্ক পরিহিত একটি সাইকেল র‌্যালি বের হয়।

১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শহরের ইশিল চত্বর এলাকায় সাইকেল র‌্যালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সাইকেল র‌্যালিটি ইলিশ চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের স্টেডিয়াম রোড, মিশন রোড ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয় ।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে মাস্ক পড়ার বিকল্প নেই। চাঁদপুরের সকলের অংশগ্রহনে আমরা করোনার প্রথম ঢেউ যেভাবে মোকাবেলা করেছি, ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য সকল সরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়েছে। আজকের এ সচেতনতামূলক র‌্যালিতে ১ হাজার ২শ’ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। চাঁদপুরে সচেতনতামূলক অভিযান করায় অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পড়ছেন। এখন থেকে সকল সরকারি দফতর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারা সেবা নিতে ও দিতে আসবে তার অবশ্যই মাস্ক পড়বে। যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানে তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো.জিল্লুর রহমান বলেন, ‘চাঁদপুরে করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় সচেতন থাকায় আমরা অনেকটা সফল হয়েছি। আজকে সারাদেশের ন্যয় চাঁদপুরে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি আশা করবো- আজকে থেকে চাঁদপুরবাসী তা মেনে চলবে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) কাজী আবদুর রহিম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অসীম চন্দ্র বণিক, ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলম, জেলা তথ্য অফিসার নুরুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা মার্কেটিং অফিসার রেজাউল করিমসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এদিকে জেলা-উপজেলা প্রশাসন চাঁদপুর শহরে ও প্রতিটি উপজেলা সদরে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড, প্রচারপত্র ও অন্যান্য প্রচার অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যেই জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে সচেনতামূলক ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
মাক্স ব্যবহার করার জন্যে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৭,২৪৬ মসজিদের ইমামদেরকে মাইকিং করে মাস্ক ব্যবহার করে মসজিদে আসতে বলা হয়েছে। ৫ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে এর ঘোষণা করার আহবান জানান উপ-পরিচালক মো.খলিলূর রহমান।

জেলা তথ্য অফিস মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে উঠোন বৈঠক, ভিডিও কনফারেন্স, মা সমাবেশ প্রভৃতি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষকে আরো বেশি সচেতন করার লক্ষ্যে অফিস-আদালতে সেবা গ্রহণের জন্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে।’ করো না ভাইরাস এর দ্বিতীয় মোকাবেলায় দেশের সকল স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ,চাঁদপুর

করোনার এ পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলায় সচেতনামূলক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। করোনা দেশের প্রেক্ষাপটে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছ্।ে বিশেষ করে কর্ম ও শ্রমজীবী মেহনতিদের রুটি-রোজির ভেতর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ’

যার ফলে আমাদের দেশে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। সরকারের সব রকম নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ ও চাঁদপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কাজ করছেন। জেলা প্রশাসন এ সামাজিক আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিতে গণসচেতনতার বিকল্প নেই। বিশ্ব করোনা পরিস্থিতে তাকালে দেখা যায় খুবই খারাপ অবস্থ্।া প্রথমদিকে আতংকিত হলেও বর্তমানে তা অনেকটাই কম।

বর্তমানে বিশ্বে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৮ শ ১০ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৮ হাজার ১শ ৬৭ জন । বর্তমানে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬ শ ৮৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ২শ ৫৪ জন। চাঁদপুরে বর্তমানে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪ শ ৯৫ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩ শ ৪১জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৭৯ জন ।

যতদূর জানা গেছে – ২০২০ সালে কোভিট-১৯ নামের এ রোগটি দেখা দেয় সর্বপ্রথম চীনের উহান প্রদেশ্।ে সেখান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এটি । এর ভ্যাকসিন আবিস্কার না হওয়া পর্য়ন্ত আমাদের স্বাস্থ্য সু-রক্ষায় নির্দিষ্ঠ কয়েকটি স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-– মাস্কের ব্যবহার। এর ব্যবহার কত দিন করতে হবে তা খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলতে পারছে না।

চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ।

বিশ্বের প্রথম করোনা রোগী একজন চিংড়ি মাছ বিক্রেতা বলে জানা গেছে । তার নাম গুইশিয়ান। ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলা। চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া নোভেল করোনাভাইরাস এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ছড়িয়ে পড়ছে ১৯১টি দেশে ও অঞ্চলে। প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। এ ভাইরাস যেহেতু মানবদেহ থেকে মানবদেহে ছড়ায় সেহেতু ‘প্রথম ’[ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কে সেটা জানতে উদগ্রীব সারা বিশ্বের মানুষ।

অবশেষে সে ‘পেশেন্ট জিরো’ রোগীর সন্ধান মিলেছে। এ নামেই বিশ্বে চিহ্নিত করা হচ্ছে তাকে ‘ ওয়েই গুইশিয়ান ’। চীনের উহান শহরের বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন। বিশ্বে তিনিই প্রথম কোভিড- ১৯ রোগে আক্রান্ত হন ওয়েই গুইশিয়ান ডিসেম্বরে ওই রোগে আক্রান্ত হন। প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে ,ওয়েই গুয়েইশিন ১০ ডিসেম্বর হুনান সি ফুড মার্কেটে চিংড়ি বিক্রি করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে ভেবেছিলেন, ঠান্ডা লেগেছে। ফ্লু ’র মতো কোনো রোগ হয়েছে। তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে ইঞ্জেকশান দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে রোগ সারে নি। বরং তিনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসকদের ধারণা হয়েছিল, ফ্লু নয় । আরও গুরুতর কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

একদিন পরে ওয়েই গিয়েছিলেন উহানের ইলেভেন্থ হাসপাতালে। এর পরেও তার দুর্বলতা কমেনি। ১৬ ডিসেম্বর তিনি যান উহান ইউনিয়ন হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখেন,সি ফুড মার্কেট থেকে আরও অনেকে এসেছেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে তার মতোই রোগের লক্ষণ ফুটে উঠেছে। চীনের এক সংবাদপত্রের রিপোর্টে জানা যায়, ডিসেম্বরের শেষে ‘ওয়েই ’কে কোয়ারান্টাইন করা হয়। ততদিনে সবাই জানতে পেরেছে করোনাভাইরাস আক্রমণ করেছে মানবজাতিকে। চীনের পরেই করোনা মহামারী মারাত্মক রূপ নিয়েছে ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, জার্মানি ভারত , ফ্রান্স , মধ্যপ্রচ্য সহ আরও অনেক দেশ।

মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে ইতালি ও স্পেন। সেখানে দোকান-বাজার, রেস্তোরাঁ-বার, স্কুল-কলেজ সবই স্তব্ধ, জনমানবশূন্য। প্রায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়,মর্গে জমছে লাশের স্তূপ। শেষকৃত্য করার লোক নেই।

বিশেষ সংবাদ

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয় । ১৭ মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করে। দেড় ঘন্টার কম সময়ে সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২১ মার্চ সরকারি-বেসরকারি অফিস- আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ টি ও পুলিশের আইজি ৩০টি নির্দেশনা জারি করেন। ২৪ মার্চ সেনা মোতায়েন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করা শুরু করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।

করোনার কারণে আমরা কয়েকটি নতুন ইংরেজি শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এগুলো হচ্ছে : ‘ কোভিট- ১৯ ’ ‘কোয়ারেন্টাইন’ ‘লকডাউন’ ‘আইসোলেশন’ ও ‘কিটস ’ ম্াস্ক ,‘সোস্যাল ডিসটেন্স’, ‘স্যানিটাইজার , হ্যান্ডওয়াস’ ইত্যাদি। আমাদের অধিকাংশই স্বাস্থ্য বিধি মেনে জীবন-যাপনে অভ্যস্থ হয়ে চলছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন শতাব্দিতে ১শ বছর পর পর এক একটি ভয়ংকর মহামারি দেখা দিয়েছে। এক তথ্যে জানা গেছে – ১৩২০ সালে দ্যা ব্ল্যাক ডেথ অব বুবোনিক প্লেগ , ১৪২০ সালে দ্যা এওইডেমিক অব ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ, ১৫২০ সালে গুটি বসন্ত ও প্লেগ ,১৬২০ সালে মে ফ্লায়ার বা স্মল পক্স , ১৭২০ দ্যা গ্রেট প্লেগ অব মার্শেই, ১৮২০ সালে কলেরা , ১৯১৬- ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু বা ম্যালেরিয়া জ্বর নামে মহামারির প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। আর ২০১৯-২০ সালে দেখা দিল কোভিট -১৯। এসব মহামারিতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া ছড়ায় এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। ২০১৬ – ১৯২০ সালের ৪ বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ রোগের কারণে প্রাণ হারিয়েছে । সেই থেকেই মানুষ বা আমরা রাতে মশারি খাটিয়ে ঘুম যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করি।

চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের অফিসের সামনে দৃশ্যমান স্থানে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ‘ যার ফলে অফিসের ফটকের সামনে লাগাণো হয়েছে ‘নো-মাস্ক, নো-এন্ট্রি, নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস – ব্যানার বা ,ফেস্টুন ।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে জানা গেছে – জেলা সদরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে তারা বাবুরহাট বাজার বাস স্ট্যান্ড লঞ্চঘাটের স্টেশন শাপলা চত্বরের পুরান বাজার নতুন বাজার সেতু বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা যেতে পারে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি মাক্স ব্যবহারের তথ্য ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে হাসপাতালেও ।

তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলার সকল স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এনজিও তে কোভিট-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আজ এ সচেতনতামূলক মানববন্ধন পালিত হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১১ টার মধ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি সংস্থা শস্য প্রতিষ্ঠান বা তার আশপাশ এলাকায় শিক্ষক কর্মচারী ও সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ কর এছাড়াও মাক্স ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যেকটি যানবাহন চালক-হেলপার যাত্রীদের ব্যবহারে সচেতন করতে দেখাচাঁদপুর জেলার সকল উপজেলা সরকারি-বেসরকারি এনজিও সংস্থা গণনামূলক মানববন্ধন এর মাধ্যমে মাক্স এর ব্যবহার করোনাভাইরাস এর প্রতিরোধ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইক আহ্বান জানান। বিভিন্ন প্রকার রং-বেরংয়ের প্ল্যাকার্ড ব্যানার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। চাঁদপুর জেলায় ২৯৬ মাধ্যমিক স্কুল ৪৭ টি কলেজ মাদ্রাসা মাদ্রাসা ১,১১১ টি প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এতে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সারা যুগে যুগে দেখা গেছে।

পাশাপাশি সমাজের মানষ-মানুষের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি করা প্রয়োজন্। দুর্নীতি,মাদক,ঘুষ,চোরাকারবারী,হিংসা-প্রতিহিংসা ,হানাহানি, মারামারি, চুরি, বাটপারি, ছিনতাই,বেহায়পনা,ধর্ষণ,নানাবিধ অন্যায় ,জুলুমবাজিসহ অসামাজিক কাজ-কর্ম ও এর প্রতিবন্ধকতা রোধে আমাদের সবাইকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে যেতে হবে।

লেখক : আবদুল গনি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী,চাঁদপুর । মোবা : ০১৭১৮ ২১১০৪৪ । ১৮ নভেম্বর ২০২০ ।

Share