Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পলাশের চিকিৎসা ও পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন রেদওয়ান খান বোরহান
দৃষ্টি

চাঁদপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পলাশের চিকিৎসা ও পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন রেদওয়ান খান বোরহান

শ্রুতি লেখকের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা চাঁদপুরের সেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সেই পলাশের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. রেদওয়ান খান বোরহান।

১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে তিনি সাংবাদিক আশিক বিন রহিমের ফেইসবুকে একটি মানকিক পোস্ট দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক তার সাথে যোগাযোগ করেন।

পরবর্তীতে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পলাশের পরিবারের সাথে কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী মৎসজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি এবং চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের জনপ্রিয় এই নেতা অসহায় পলাশের চোখের উন্নত চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি তিনি পলাশের পড়ালেখার খরচ বহন করার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে ভয়েস বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সিটি নিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান জানান, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে অসহায় পলাশের বিষয়টি জানতে পারি। পরে সকালেই আশিক বিন রহিমের মাধ্যমে পলাশের পরিবার সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি আমার ব্যক্তিগত অর্থে পলাশের উন্নত চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবো বলে জানিয়েছি। পাশাপাশি পলাশের পড়ালেখার খরচ আমি বহন করব।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পলাশ জানান, মেঘনার ভাঙনে বসতভিটে হারিরিয়ে তার পরিবার চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার ঘোষপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। পিতা শ্যামল দে পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। জন্ম থেকে বাম চোখে সমস্যা থাকালেও সে নিজে নিজেই পরিক্ষায় খাতায় লিখে পিএসসি/জেএসসি ও এসএসসি পাশ করেছেন। চিকিৎসার অভাবে বর্তমানে ডান চোখে দৃষ্টিও ক্ষয়িষ্ণু হতে চলেছে। এবছর চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজ থেকে শ্রুতি লেখকের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের রেজাল্ট হাতে এলে দও ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টির কারনে নিজের সেই কাঙ্খিত ফলাফল স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না।

পলাশের মা বলেন, আমার ছেলের চোখের চিকিৎসার জন্য রেদওয়ান খান বোরহান এগিয়ে এসেছেন। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে ওনার জন্য অনেক দোয়া করছি। আমি জেনেছি তিনি অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। আজকে সেটাই প্রমাণ হলো।

পলাশের ভাই শিমুল জানান, আমারা পলাশকে সার্ধ্যমত চিকিৎসা করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমার ভাইয়ের চিকিৎসা সাহায্যার্থে এগিয়ে আসায় আমরা আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান সাহেবকে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত : আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান চাঁদপুর সদর-হাইমচর নির্বাচনী আসনের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বহুকাল ধরে চাঁদপুরের অসংখ্য মানবিক কাজের দৃষ্টাস্ত রেখে চলেছেন। বিশেষ করে করোনার দুর্যোগে চাঁদপুরের মানুষের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি হাইমচরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক অসহায় মাদ্রাসা ছাত্রের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হন। ১৯ ফেব্রুয়ারি একই দিনে তিনি ১০জন গরীব শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যয় বহন করেন। এছাড়াও চাঁদপুর শহরের ১১নং ওয়ার্ড মধ্য গুনরাজদীতে অসুস্থ বাবুল খানের চিকিৎসায় অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেন। শনিবার দুপুরে অসুস্থ বাবুল খানের স্ত্রী পেয়ারা বেগম হাতে রেদওয়া খান বোরহানের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারি আরিফ হোসেন পাটোয়ারী অনুদান তুলে দেন। অসুস্থ বাবুল খান দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। আলহাজ্ব রেদওয়া খান বোরহানের এই মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি দল-মত নির্বিশেষে জেলা সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন।

প্রতিবেদকঃ আশিক বিন রহিম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২