Home / চাঁদপুর / জাটকা বিক্রি : অভিযোগের আঙুল নৌ-পুলিশের দিকে!
জাটকা বিক্রি : অভিযোগের আঙুল নৌ-পুলিশের দিকে!
শনিবার বিকেলে জাটকার বেশ কিছু ঝুড়ি রাজরাজেশ্বরের চরাঞ্চলের ঝোঁপের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বেশ ক’জন বেপারী সেগুলো উদ্ধার করে সেগুলো মাছঘাটে এনে বিক্রি করে দেয়।

জাটকা বিক্রি : অভিযোগের আঙুল নৌ-পুলিশের দিকে!

আবারো চাঁদপুর নৌ পুলিশকর্তৃক জব্দকৃত কয়েক ঝুড়ি জাটকা ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে জাটকা বিক্রি নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে হট্টগোল সৃষ্টি হয়ে ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্রিকৃত ঝুড়িভর্তি জাটকা মাছগুলো সদর উপজেলার ১৪ নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে চরাঞ্চলের একটি পরিত্যাক্ত ঝোঁপ থেকে মাছ বেপারীরা উদ্ধার করেছে বলে জানাযায়।

তবে এই ঘটনা মিথ্যা বলে আরোরো দাবি করেছে নৌ পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গত ১৫ দিনের মাথায় আবারো নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে জাটকা ইলিশ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছু মাছ ঘাটের বেশ ক’জন ব্যবসায়ী জানায়, জাটকা সম্পদ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে নৌ পুলিশ শুক্রবার রাতে যাত্রীবাহী বিভিন্ন লঞ্চ থেকে জাটকা ইলিশ জব্দ করে। শনিবার সকালে জব্দকৃত এসব জাটকা ইলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হিমাগারে পাঠানো হয়।

অথচ শনিবার বিকেলে উল্লেখিত মাছের বেশ কিছু ঝুড়ি রাজরাজেশ্বরের চরাঞ্চলের ঝোঁপের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বেশ ক’জন বেপারী সেগুলো উদ্ধার করে সেগুলো মাছঘাটে এনে বিক্রি করে দেয়।

ওইসকল ব্যবসায়ীদে মাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ঝুড়ি ভর্তি এসব মাছ চর এলাকা কিভাবে এলো? এবং এ মাছের উৎস কি?। তাদের এই নানান প্রশ্ন নিয়ে নৌ পুুলিশের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে নৌ পুলিশের ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘আমরা কোথাও কোন মাছ বিক্রি করি নাই। আমাদের সিজার লিস্টে ২৯ মন পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্র পালের উপস্থিতিতে এ মাছ হিমাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মাছ রাজরাজেশ্বর চরে কিভাবে আসলো সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মাছের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। পুলিশ যদি সরকারি আদেশ পালন করতে গেলে কারো ক্ষতি হলে সে অনেকের কাছে বলতে পারে। কিন্ত আমরা রাষ্ট্রের পক্ষে কোন কাজ করলে সে কাজ আমাদের কাছে বৈধ। আমি নদী থেকে জাটকা ছাড়া অন্য মাছ নামাই না। আর তাছাড়া স্কেল দিয়ে মেপে মাছ নামাই। মাছ ঘাটে কোন মাছ, কিসের মাছ সে বিষয়ে আমার জানা নাই।’

মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিছ আলী গাজী জানান, ‘মাছঘাটে প্রতিদিন অনেক মাছ ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। আজকেও সে ধারাবাহিকতায় মাছ বিক্রি করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ক’দিন আগে নৌ-পুলিশ কতৃক জব্দকৃত জাটকা ইলিশ চাঁদপুর লঞ্চঘাটের বিআইডব্লিউটিএর কেন্টিনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠে।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ১০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply