চাঁদপুরে এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে টাস্কফোর্স কর্তৃক ৫শ’ অভিযান পরিচালনা করা হয় । জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগের প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে সাফল্য এসেছে।
দু’মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ , উপজেলা প্রশাসন, কো¯ট গার্ড, ইউপি প্রতিনিধিগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ঠ যথাযথ দায়িত্ব পালনে জাতীয় সম্পদ ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৬০ কি.মি. পর্যন্ত ওই পরিচালিতন হয়। এ সব অভিযান কখনো যৌথ ভাবে আবার নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও জেলা মৎস্য বিভাগ একক অভিযান পরিচালনা করেছে।
জেলা মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য মতে , মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দু’মাসের অভিযানে ৫শ’ ৩০ জন জেলে আটক করে। এর মধ্যে ২শ’ ৯০ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-, ২ শ’ ৪০ জন জেলেকে বিভিন্ন অংকের টাকায় জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও ২৫ মে.টন জাটকা ও ৪১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা । জাটকা রক্ষা বিরোধী কার্যকলাপের দায়ে ৩ শ’৪৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । এর ফলে ২০১৫- ’১৬ অর্থবছরে ৪ লাখ মে. টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত অর্থ বছরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৫ হাজার মে. টন
ছিল। তবে সে ক্ষেত্রে ৩ লাখ ৮৭ হাজার মে. টন উৎপাদন হয়েছে বলে সংশিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০১- ‘০২ অর্থবছর থেকে জাতীয় ভাবে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে । এতে ২০০৭ – ২০০৮ অর্থবছরে ২৫.৯০ মে.টন থেকে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৩৫.৪৮ মে.টনে উন্নীত হয়েছে। ওই একই অর্থবছরে ইলিশ রফতানি আয় ৪ হাজার ৮শ’ ৯৮ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ হাজার ৭শ’ ৩২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়।
আবদুল গনি[/author]
: আপডেট ৪:০৫ এএম, ০৫ মে ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ