Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে দুদিনের ব্যবধানে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৭
Dead-Body
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে দুদিনের ব্যবধানে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৭

চাঁদপুরে দু’দিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১জন এবং করোনার উপসর্গ (সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যাথা) নিয়ে আরো ৬ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির নাম মোসলেম উদ্দিন বেপারী (৬০)। তিনি ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামে চলে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বাকী সবাই উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর শহরের ট্রাকরোডে রোজগার্ডেন ভবনে ছকিনা বেগম (৮০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়। তবে দেরী হয়ে যাওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের আমজাদ খান বাড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মহরম খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। বিকেলে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পর পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের ট্রাক রোড কাজী অফিস সংলগ্ন ৪তলা ভবনে মো. আবুল খায়ের মিজি (৫২) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিনি সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের মো. শহীদ উল্লাহ মিজির ছেলে। তিনি গত ৪ দিন করোনা উপসর্গ জ¦র, সর্দি ও কাশি নিয়ে ভুগছিলেন। শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহের পর দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে নামাজে জানাযাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।

শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চাঁদপুর শহরে ফ্যামিলি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফয়েজ উল্যাহ (৭৫)। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের ৮নং ওয়াডের বাসিন্দা। তিনি সপ্তাহকাল যাবত সর্দি জ্বর কাশিতে ভুগছিলেন।

শুক্রবার দিবাহত রাত পৌনে ৩টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সংবাদকর্মী আবুল হাসনাত খান (৫৫)। তিনি চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। পরে নামাজে জানাযার পর দুপুর ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি রাজাপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।

সর্বশেষ শনিবার দুপুর ২টার দিকে কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরী গ্রামের সরকার বাড়ির ফজিলেতুন্নেসা (৭০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে তার ছেলে মানিক সরকার (৫০) ও স্বামী বাচ্চু সরকার (৮০)ও করোনার উপসর্গে মারা যান।

সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কোন ধরনের মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কোন ব্যক্তির করোনার উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা না নিয়ে যদি তিনি বাড়িতে থাকেন সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ আমরা তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগও পাচ্ছি না। তারা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসলেও মৃত্যুবরণ করছেন। তখন আর করার কিছু থাকে না। (প্রবাহ)

বার্তা কক্ষ,৩১ মে ২০২০