চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট : চড়া দামে বিক্রি কম

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরের পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে খামারে পালিত মোটাতাজা গরু হাট বাজারে তুলতে শুরু করেছে। জমে উঠেছে জেলার পশু হাটগুলো। গৃহেপালিত, খামারে লালিত চোখ জুড়ানো পশু জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

আর কয়েকদিন পরেই আগামি ১৩ সেপ্টম্বের (মঙ্গলবার) উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা তথা কোরবানির ঈদ।

ঈদকে সামনে রেখে জেলার খামারে পালিত মোটাতাজাকরণ গরু জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে তুলতে শুরু করেছে।

কোরবানির পশু বেচাকেনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের ৮ উপজেলার পশুরহাট। কোরবানির পূর্ব মুহূর্তে শহরের বিভিন্ন হাটগুলোতে বেচাকেনা চলে রাত পর্যন্ত। গরু ছাগল বেচাকেনায় যাতে কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে প্রশাসনসহ হাট কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাট মালিকরা।

কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় করার জন্য চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে গরু-ছাগলের হাট। এসব হাটে এখন গরু ছাগলের আমদানি বাড়লেও এখনো পুরোপুরিভাবে জমে উঠেনি পশুর হাট। এদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালী এলাকায় ও বাকিলা ইউনিয়নে জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। জেলাসহ জেলার বাইরে থেকে শত শত গরু আসছে সফরমালী ও বাকিলা পশুর হাটে।

সোমবার সফরমালী ও বাকিলা এলাকার গরু-ছাগলের হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে পশুর সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন পশুরদাম গত বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি। যারা আসছে খুব কম সংখ্যক লোকেই পশু কিনছেন। আর দু’তিন পর থেকে বেচা-কেনা তুমুলভাবে জমতে শুরু করবে। সফরমালী ও বাকিলা সেখানকার গরুর হাটের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। দূর থেকে আসা বেপারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

ক্রেতারা জানায়, এবছর গরু ছাগলের দাম একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে পশু বিক্রি কম। অনেকেই গরুর বাজারের প্রথম দিকে তাকিয়ে আছেন। দাম কম হবে নাকি বেশি। তবে বাজার কমিটি জানিয়েছেন মোটামুটি সংখ্যক পশু বিক্রি হচ্ছে। যারা আসছে দাম কষাকষি করে চলে যাচ্ছেন। জেলাসহ চরাঞ্চলের বেপারীরা এখানে শত শত গরু নিয়ে আসেন। আমরা বেপারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি।

তাছাড়া ক্রেতারা যাতে নিশ্চিতভাবে কোরবানির জন্য তাদের পশু কিনতে পারে, তারজন্য আমাদের টিম দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে এক অনুষ্ঠানে পশুর হাট প্রসঙ্গে চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেছেন, ‘এবার কোনোভাবেই সড়কে পশুর-হাট বসানো যাবে না। এ ব্যাপারে হাট ইজারাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বসে করণীয় ঠিক করতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জেলার আইন শৃংখলা ভালো রাখার জন্য যার যা দায়িত্ব তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
Share