Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে চুরির অপবাদে দু’যুবককে নির্মম নির্যাতন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
চাঁদপুরে চুরির অপবাদে দু’যুবককে নির্মম নির্যাতন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
হাসপাতালে আহত নাছির।

চাঁদপুরে চুরির অপবাদে দু’যুবককে নির্মম নির্যাতন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

হাসপাতালে আহত নাছির জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : থানায় মামলা

চাঁদপুর পুরাণবাজারে চোর অপবাদ দিয়ে ২ যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গুরুতর আহত নাছির চিকিৎসার অভাবে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ ঘটনায় নাছিরের স্ত্রী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।

৬ দিন যাবত চিকিৎসাধীন থাকার পরও সুস্থ না হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় না নিতে পারায় সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এদিকে হামলাকারীরা চিকিৎসার সব খরচ চালানোর অঙ্গীকার করলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর না নিয়ে টালবাহানা শুরু করছে।

শনিবার চাঁদপুর মডেল থানায় হামলাকারী পুরাণবাজার যুগিপট্টি মোহাম্মদ আলী কুট্টি, রহমান হাওলাদারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে নাছির (৩০) ও মনিরুল (২২) কে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এলাকাবাসী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। পুরাণবাজারের ব্যবসায়ী রহমান হালদারের বোনের বাড়িতে চুরির করার অপবাদে নাছির ও মনিরুলকে রোববার সকাল ৮টায় ডাকাতিয়া নদীর পাড় থেকে রহমান হালদারের নির্দেশে তার ভাই কুট্টি ধরে নিয়ে আসে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রহমান হালদারের বাড়িতে মুখে কাপড় বেঁধে জিআই পাইপ, রড দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে লবণ মরিচ লাগিয়ে দেয়। এছাড়া নাছির ও মনিরুলের চোখ উপরে নিতে রড দিয়ে চেষ্টা চালায়। পরে প্রায় ৫ ঘণ্টা অমানবিক অত্যাচারের পর পুরানবাজার নতুন রাস্তা এলাকায় ফেলে চলে যায়।

পরে আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। এসময় এলাকাবাসী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ১০:৪৫  অপরাহ্ন, ০৯ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Leave a Reply