চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে। চাঁদপুরে ইরি-বোরো ও আউশের পরই বোনা আমনের স্থান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুরে (২০১৭-২০১৮) বছর ১৯ হাজার ৫ শ’ ৮১ মে.টন বোনা আমম চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৬ হাজার ৩ শ’ ১৮ হেক্টর। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।
চরাঞ্চলগুলি হলো-মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম,সবজি কান্দি,জহিরাবাদ,ষষ্টখন্ড বোরোচর,চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা,লগ্নিমারা,বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর,ফতেজংগপুর,হাইমচরের ঈশানবালা,চরগাজীপুর,মনিপুর,মধ্যচর,মাঝিরবাজার,সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে স্থানীয় জাতের বোনা আমনের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৮ শ’ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮শ ৯৬ মে.টন। মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১শ’ ৩ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ শ’ ২৩মে.টন।
মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শ’ ৩০ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৮ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শ’ ৬০ মে.টন
শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৪ হাজার ২ শ’ ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১ শ’মে.টন । কচুয়ায় চাষাবাদ ৮ হাজার ৮ শ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫শ’ ৭২ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ ৭ শ’৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯শ’ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ নেই ।
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা আউশ চাষাবাদ করছে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ :১০ পিএম,১০ এপ্রিল ২০১৮,
এজি