চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধেীত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। অনাদিকাল থেকেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাঁদপুরের সু-খ্যতি রয়েছে। মেঘনা,পদ্মা ,ডাকাতিয়া ও মেঘনা ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্টিত চাঁদপুরের মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী একটি জেলা । যেখানে সব রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে।
এর মধ্যে পাট অন্যতম । ষাটের দশকের শুরুতে ডব্লিউ রহমান জুট মিল,স্টার আল কায়েদ ও হামিদিয়া জুট মিল গড়ে উঠেছিল। সে সুবাধেই চাঁদপুরে কম-বেশি পাট চাষাবাদ হযে থাকে ।
চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এ বছর (২০১৭-২০১৮ খরিপ-১) ৪ হাজার ৪শ’ ১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৯শ’৩১ বেল। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারি ভাষায় ৫ মণকে বলা হয় ১ বেল । সে হিসেবে এবার ২ লাখ ১৪ হাজার ৬শ’ ৫৫ মণ পাট উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাপ্ত সূত্রে মতে,চাঁদপুরে দেশি পাটের চাষাবাদ ২ হাজার ২শ’৭৬ হেক্টরে ২১ হাজার ৮৮ বেল ,তোষা পাটের চাষাবাদ ১ হাজার ৩ শ’৭১ হেক্টরে ১৫ হাজার ৪শ’২৮ বেল , কেনাফ জাতের চাষাবাদ ৬শ ২০ হেক্টরে ৫ হাজার ৩শ’ ৩৩ বেল , মেস্তা চাষাবাদ ১শ’ ৪০ হেক্টরে ১ হাজার ১শ’ ৮২ বেল ।
প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়,এ বছর চাঁদপুরের ৮ উপজেলার মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১ হাজার ৬ শ’৯৯ হেক্টর জমিতে দেশি,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৫ হাজার ৯ শ’৭৫ বেল ।মতলব উত্তরে ২ শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ হাজার ২ শ’৪১ বেল ।
মতলব দক্ষিণে ৫ শ’৩০ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫ হাজার ২ শ’৩৩ বেল।
হাজীগঞ্জে ৬ শ’২০ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ হাজার ২ শ’১১ বেল ।শাহরাস্তিতে ৭২ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ শ’৯২ বেল ।কচুয়ায় ৫ শ’৩৫ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫ হাজার ৩শ’ ৯২ বেল।
ফরিদগঞ্জে ১ শ’৭৫ হেক্টর জমিতে দেশী,তোষা ও মেস্তা জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ হাজার ৫ শ’৯৮ বেল । হাইমচরে ৫ শ’ ২০ হেক্টরে কেনাফ জাতের পাট চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হলো ৪ হাজার ৩ শ’৮৯ বেল ।
সূত্র জানায়, এ বছর চাঁদপুরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ৪ শ’হেক্টর জমিতে দেশি,তোষা,মেস্তা ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার বেল এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদী।
একজন কৃষিবিদ জানান,‘দেশে উন্নত মানের পাট বীজের প্রয়োজন হলেও তা নেই । এতে কৃষকরা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হন। তিনি আরো বলেন,দেশের উৎপন্ন দ্রব্যের বাজারকরণে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। চালের দাম বৃদ্ধি কমানোর জন্যে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সাময়িকভাবে চালূ হওয়ায় পাটের বাজার নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
চাঁদপুর বীজ সংরক্ষকের অফিস জানায়, এবার ১০ মে.টন পাট বীজ এ জেলায় এসেছে। প্রতিটি ব্যাগের পরিমাণ ১ কেজি । যার মূল্য ১শ’ ৫৮ টাকা।
ভালো মানের বীজের প্রশ্নে সূত্রটি জানায় বিএডিসি যে বীজ আমাদের পাঠান সে বীজই বাজারজাত করা হয় ।
প্রতিবেদক:আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৬:০৫ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮,বুধবার
ডিএইচ