মেয়েকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন পূরণ হলো না দেবর ও স্বামী কর্তৃক নির্মম হত্যার গৃহবধূ লিজার অসহায় পিতার। মেয়ের অনাগত সন্তানকে আদর করার জন্য দেখা স্বপ্নটা মাত্র ৭ মাসের ভেঙ্গে দিলে যৌতুক লোভী পাষন্ড এক পরিবার। ৭ অšঃসত্ত্বা অবস্থাতেই দেবর ও স্বামীর হাতেই নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো রামদাসদী ঢালী বাড়ির হতভাগী গৃহবধূ লিজা বেগমকে। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় লিজাকে।
এদিকে ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ পাষন্ড পরিবারটির কাউকে আটক করতে না পারায় মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে লিজার আসহায় বাবা মা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শাসুন্নাহার।
নির্মম এ হত্যাকান্ডের শিকার লিজার বাবা জলিল গাজী ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, বিয়ের পর থেকই মোটা অংকের য়ৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় শশুর মুনাফ ঢালী, শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, দেবর রহমান ঢালী ও বড় ননদ ফাতেমা বেগম প্রায়ই মারধর করতো লিজাকে। ছোটখাট বিষয়কে ইস্যু করে লিজার উপর চালানো হতো ব্যাপক নির্যাতন। প্রবাসে থাকা স্বামির শরীফের নির্দেশেই লিজার প্রতি এমন নির্যতন করা হতো বলেই জানায় তার পরিবার।
ঘটনার দিন লিজা বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা চাইতে পারবে না বলে অস্বীকৃতি জানানোয় দেবর রহমান ও ননদ ফাতেমা বেগম কতৃক শ্বাসরোধ করে লিজাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পরিবারটি গা ঢাকা দিয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে লিজার পিতা মঙ্গলবার চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে বিষয়টি পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার অবগত হলে মঙ্গলবার নিহত লিজার পরিবারকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। এসময় তিনি হত্যার ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তদের কাঠোর শাস্তির আনা হবে বলে অসহায় পরিবারটিকে জানায়।
রামদাসদী ঢালী বাড়ি এলকার বেশ কয়েকজন জানায়, লিজার শশুর মুনাফ ঢালী ও তার দুই ছেলে শরীফ ও রহমান জুয়ারী বলেই এলাকায় পরিচিত। শরীফ বিদেশ গিয়েও জুয়া খেলে অনেক টাকা নষ্ট করেছে। মূলত এজন্যই ওই পরিবাটি যৌতুকলোভী হয়ে পড়ে।
| আপডেট: ১০:৪৩ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবারচাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫