Home / জাতীয় / অর্থনীতি / চাঁদপুরে‘স্কুল ব্যাংকিং’হিসেব ৪ হাজার ২শ : সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা
school-banking ...
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে‘স্কুল ব্যাংকিং’হিসেব ৪ হাজার ২শ : সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা

চাঁদপুরে‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসেব ৪ হাজার ২শ ৫২ টি। সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা । চাঁদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও ‘স্কুল ব্যাংকিং’ ততটা সাড়া যোগাতে পারছেনা। প্রযোজনীয় উদ্যোগ বা উদ্বুদ্ধকরণ না থাকায় এমন টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গেছে। জেলায় ৪ হাজার ২শ’ ৫২ টি হিসেবের বিপরীতে দেড় কোট টাকা সঞ্চয়ী হিসেবে আমানত রয়েছে।

স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলতে ২০১০ সালের নভেম্বরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ‘স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম ’ শুরুর অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতেই স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়া হয়। প্রথম দিকে কিছুটা কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। সামনের দিনে এ হিসাব খোলার প্রবণতা আরও বাড়ার কথা থাকলেও উদ্বুদ্ধকরণ না থাকায় কাংখিত লক্ষ্যে এটি চাঁদপুরে তা হচ্ছে না ।

স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থীর মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তুলতেই বিভিন্ন নামে সঞ্চয় প্রকল্প চালু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাঁদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠার কথা ছিলো এ ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান,জনসংখ্যার বড় একটা অংশ স্কুল শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তাগণ, স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা আরো আন্তরিক হলে ‘স্কুল ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’

তবে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ব্যাংকিং’ এর জন্যে হিসেব খোলার মনোভাব বেশি বলে জনতা ব্যাংক চাঁদপুরের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুরের বিভিন্ন ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, ৪ হাজার ২শ’ ৫২টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে দেড় কোটি টাকা সঞ্চয়ী হিসেবে আমানত রয়েছে।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ২০টি শাখায় ৯২৬ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৯২ লাখ ৬১ হাজার টাকা, জনতা ব্যাংকে ২০টি শাখায় ৮শ ৩৯ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৬৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা,কৃষি ব্যাংকের ২৮টি শাখায় ৫শ’৩৯ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা,

অগ্রণী ব্যাংকের ১৭টি শাখায় ১ হাজার ৯শ ৪৮ টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা । চাঁদপুর সোনলী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘নতুন প্রজন্মকে ব্যাংকিং কার্যক্রম বুঝানোর জন্যই এটি চালু করা হয়। ব্যাংক ব্যতীত অর্থনীতি অচল। ছোটবেলা থেকেই তারা সঞ্চয়ীমনা হলেও প্রচুর টাকা জমা করতে এবং শিক্ষা জীবনে তা’ ব্যয় করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বিদেশে আমাদের অনেক যুবক ব্যাংকিং কার্যক্রম বুঝে উঠতে পারেনা বলেই অন্যের সাহায্যে ব্যাংকিং লেন-দেন করে থাকে। তাই স্কুল বয়স থেকেই তাদেরকে ব্যাংকিং কর্যক্রম শিখানোর জন্য স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সঞ্চিত টাকা ব্যায় করার সুযোগ পাবে। চাঁদপুরে এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন ।

বর্তমানে দেশের ৫৬ টি ব্যাংকের ৫৫ টিতেই স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলো স্কুল ব্যাংকিং হিসেব খোলায় এগিয়ে রয়েছে ।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্কুল ব্যাংকিং শুরু হওয়ার ছয় বছরের ব্যবধানে হিসেব সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। একই সময়ে সঞ্চয় স্থিতিও বাড়ছে ।

১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসেব খুলতে পারে। মাত্র ১ শ’ টাকা প্রাথমিক জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় এ হিসাব খোলা যায়। এ হিসেবে কোনো ফি বা চার্জ আরোপ করা হয় না। এমনকি ন্যূনতম স্থিতি রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩ : ১০ পিএম, ৪ জুন ২০১৮, সোমবার
এজি

Leave a Reply