বিশেষ সংবাদ

চাঁদপুরের মাদ্রাসা ছাত্রী শ্যামলীর করুণ কাহিনী

ফলোআপ : 

মিজানুর রহমান রানা | আপডেট: ০৮:৪১ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার

চাঁদপুর সদর উপজেলার দাসদী দাখিল মাদ্রাসার আলিম ক্লাসের ছাত্রী শ্যামলী। বিয়ে করে স্বামীর পরিবারের সাথে সুখী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন না। পারলেন না নিজকে বিকশিত করতে, শুধু পারলেন অনাকাক্সিক্ষত এক মায়ের গর্ভের সন্তানকে তিলে তিলে পেটে লালন করতে।

যেদিন এই সন্তান ভূপৃষ্ঠে প্রথম তার পা রাখবে, তখন সে জানবে তার বাবা তার মাকে প্রেম করে বিয়ে করে যৌতুকের জন্যে ৫দিন ধরে অনাহারে অর্ধাহারে বন্দী রেখে নির্মম নির্যাতন করেছে।

তারপর সেই নির্যাতন ভোগ করতে করতে সে চলে আসে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের বেডে। শুয়ে শুয়ে নির্যাতনের কাহিনী শোনায় সাংবাদিকদের।

সাংবাদিকদের কলমের কালি, অতপর তা টাইপ হয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে মুদ্রিত কাগজে অথবা অনলাইনে প্রকাশিত হয়। কিন্তু শ্যামলীর দুঃখ-কষ্টের অবসান হয় না।

শ্যামলী পড়ে থাকে অবহেলায় অগোচরে। কেউ তাদের খোঁজ রাখে না।

শ্যামলী এখনও আছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে। তার স্বামী তাকে মুঠোফোনে হুমকি ধমকি দেয়, তার নাকি কেশাগ্রও কেউ ছুঁতে পারবে না। আসলেও কি তাই, বলা হয়ে থাকে অত্যাচারীরা ভীতু, কিন্তু এই অত্যাচারীরা কি কখনও ভীত হবে তাদের অত্যাচারের জন্যে? শ্যামলী কি ফিরে পাবে তার হারানো সম্পদ-যৌবন?

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

Share