Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / চাঁদপুরের মসলাবাজার লাগামহীন : ক্রেতারা হতাশ
চাঁদপুরের মসলাবাজার লাগামহীন : ক্রেতারা হতাশ

চাঁদপুরের মসলাবাজার লাগামহীন : ক্রেতারা হতাশ

কুরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতিবছরই মসলার ব্যবহার যায়। ফলে বাজারের চাহিদা অধিকহারে বেড়েমেটাতে ও মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যবসায়ীরা আগাম মসলা আমদানি করায় এ সময়ে বাজারে পর্যাপ্ত মসলার মওজুদও থাকে। তবে এ সময়ে চাঁদপুরে মসলার বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় পাইকারী বাজারের সাথে খুচরা বাজারের মূল্যে দেখা দিয়েছে বিস্তর ফারাক।

বাজার মনিটরিং না থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী একপ্রকার খামখেয়লীভাবে মনগড়া দর হাঁকিয়ে সাজিয়েছেন মসলার বাজার দর।

শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের পুরাণবাজার, পাল বাজার, বিপনিবাগসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় একই বাজারে পাশাপাশি দোকানেও ভিন্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে মসলা।

খুচরা বিক্রেতারা কুরবানির ঈদের অজুহাতে মূল্য বৃদ্ধির কথা বললেও পাইকারী বিক্রেতারা এ অজুহাত মানতে নারাজ। তাদের ভাষায় বর্তমানে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিগত ক’মাসের তুলনায় মসলার দর অনেকটাই কমেছে। পর্যাপ্ত আমদানী থাকায় ঈদের পূর্বে মসলার মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই এমনটি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মসলার দাম পাইকারী বাজারে তেমনটি না বাড়লেও খুচরা বাজারে অনেকটাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রোববার চাঁদপুরের বিপণিবাগ বাজারে নি¤œমানের জিরার পাইকারী দর ছিলো ৩ শ’ ৪০ টাকা, যা পালবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকায় এবং পুরাণবাজারে ২শ’ ৮৫ টাকায়। এলাচ বিপণিবাগ বাজারে ১২শ’ টাকা, পালবাজারে ৯ শ’ টাকা, পুরাণবাজারে ৮ শ’ ৮০ টাকা। লবঙ্গ বিপণিবাগ বাজারে ১ হাজার ৪ শ’ টাকা, পালবাজারে ৯ শ’ ৫০, পুরাণবাজারে ৯ শ’ টাকা। আদা বিপণিবাগ বাজারে ৯০ টাকা, পালবাজার ও পুরাণবাজারে ৮০ টাকা। দারুচিনি বিপণিবাগ বাজারে ৩ শ’ ৫০ টাকা, পালবাজারে ২ শ’ ৫০ টাকা, পুরাণবাজারে ২ শ’ ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও রসুন বিপণিবাগ বাজারে ৮০, পালবাজারে ৭০, পুরাণবাজারে ৬৫ টাকা।

পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে আবারো দাম বাড়তে শুরু করেছে।

শনিবার বিপণিবাগবাজার, নতুন বাজার, পাল বাজারে সন্ধ্যায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা পুরাণবাজারে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অপরদিকে প্রতিটি বাজারে খুচরা দোকানে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মনগড়া মূল্যে মসলার বাজার দর হাঁকিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। এক দোকানের মূল্য তালিকার সাথে অন্য দোকানের মূল্য তালিকার কোনো মিল নেই। বাজারের এ ধরনের মূল্য পার্থক্য সাধারণ ক্রেতাদের জানা না থাকায় তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।

পাইকারী বাজারের সাথে খুচরা বাজারের মূলের ব্যবধান কমাতে এবং বাজারে নির্ধারিত মূল্যে মসলা বিক্রি করতে হলে ঈদের পূর্বে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন পুরাণবাজারের মসলা আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, ঈদের অজুহাতে খুচরা বাজারে মূল্য ব্যবধানে আমদানীকারকরা দায়ী নয়।

পাল বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মেসার্স সালামত খাঁনের ছেলে সোহেল খান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মসলার বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং ঈদের আগে কোনো পরিবর্তনের সম্ভবনাও নেই। তবে আমদানী না থাকায় ও বাজারে সংকটের ফলে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করতে পারে।

পুরাণবাজারের মসলা আমদানীকারক মেসার্স সুখরঞ্জন-এর স্বত্ত্বাধিকারী বাবুল রায় চাঁদপুর টাইমসকে জানান, শুধুুমাত্র লবঙ্গের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের মসলার মূল্য গত ক’মাসের তুলনায় বর্তমানে কম রয়েছে।

 

 আপডেট: ০৬:১২ অপরাহ্ণ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রোববার

চাঁদপুর টাইমস : এমএএ/ এমআরআর/২০১৫