Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে
Eid...

চাঁদপুরের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে

সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। আজ দেশটিতে ঈদ উদযাপন করছেন মুসলমানরা। বাংলাদেশের আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, লক্ষ্মীপুর ও পিরোজপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।

চাঁদপুরের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামে শুক্রবার ঈদুল ফিতর পালিত হবে। প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক। সেই থেকে বেশ কয়েকটি গ্রাম আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে থাকে।

জানা গেছে, সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাও. ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে সর্ব প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর ঈদ ও রোজা পালন করা হয়। এছাড়াও শবে বরাত, শবে কদর এবং শবে মেরাজসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান এভাবেই পালিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, ও সুরঙ্গচাইল গ্রাম। ফরিদগঞ্জ উপজেলার – কামতা, ভূলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলী, বাচপাড়, টোরামুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, কাইতপাড়া, নূরপুর,সাচনমেঘ, হাঁসা ও গোবিন্দপুর এবং মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গার আংশিক, আমিয়াপুর গ্রামের একাংশ, মধ্য ইসলামবাদ গ্রামের একাংশ, গাজীপুর গ্রামের একাংশ,মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি) গ্রামের একাংশ, ফরাজীকান্দি,রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়ায় এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন এবং ঈদ উদযাপন করেন গ্রামবাসীরা।

মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন,‘ আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরিফের অনুসারী। প্রতি বছর আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছি। এবারও এভাবে রোজা রাখছি । ’

সাদ্রার দরবার শরীফের পীর শাইখ মো.আরিফ চৌধুরী জানান, এ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্ব সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা তার ভিত্তিতে রোজা রাখি। মুসলিম বিশ্বের প্রথম চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে হবে।

২১ এপ্রিল ২০২৩
এজি