চাঁদপুরের ইলিশ যেভাবে চিনবেন

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর! ফলে সারা বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের বাইরেও রয়েছে এর কদর। বাজারে ইলিশ কিনতে গেলে আগেই খোঁজ করা হয় চাঁদপুরের ইলিশের। কারণ, স্বাদে-গন্ধে এই ইলিশের জুড়ি নেই। আর মিঠা পানির ইলিশের স্বাদ যেন এক অনন্য।

অনেকেই চাঁদপুরের রুপালি ইলিশ কিনতে গিয়ে কিনে আনেন সাগরের ইলিশ। কারণ, সাগরের ইলিশও বাজারে চাঁদপুরের ইলিশ বলে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ ভাবেই না চিনে ইলিশ কিনে নদীর ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আসল রুপালি ইলিশ ব্যবসায়ী আর জেলেরাই চিনে থাকেন। খুব কমসংখ্যক ক্রেতা রুপালি ইলিশ চেনেন। তবে একটু ভালোভাবে দেখলেই সাগরের ইলিশ আর নদীর ইলিশ সহজেই পার্থক্য করা যায়। নদীর ইলিশে উজ্জ্বলতা বেশি থাকে এবং রুপালী রঙের হয়। এ ছাড়া, পরিবেশের কারণে ইলিশের স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকে।

এদিকে, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দুটির উজ্জ্বলতা এবং স্বাদ একই। মিঠাপানি অর্থাৎ পদ্মা ও মেঘনার পরিবেশ এবং খাদ্যের মান ভালো থাকায় এখানকার ইলিশ স্বাদেও ভিন্ন। প্রচলিত কারণে সবাই পদ্মার ইলিশ বলে।

অন্যদিকে, সাগরের ইলিশের স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাসগত পরিবর্তন থাকে। যার কারণে সেখানকার ইলিশে উজ্জ্বলতা কম থাকে ও শরীরে লালচে ভাব থাকে এবং ধূসর বর্ণের হয়।

এ বিষয়ে জেলেরা জানান, পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশের রঙ একেবারেই আলাদা। এই ইলিশ বরফে রেখে দিলেও রঙ নষ্ট হয় না। একটা রুপালি সিল্ক থাকে। চোখ-মুখ ও কাঁধের গঠনও আলাদা। আর সাগরের ইলিশ লালচে রঙের হয়। ১০-১৫ দিন ট্রলারে রাখার কারণে কালার আরও নষ্ট হয়ে যায়। নদী আর সাগরের ইলিশ একসঙ্গে নিলে বোঝা যাবে কোনটা নদীর আর কোনটা সাগরের।

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এজি

Share