Home / চাঁদপুর / শিল্প-সাহিত্যে চাঁদপুরের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
ইতিহাস

শিল্প-সাহিত্যে চাঁদপুরের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

‘সৃজনের সম্মিলনে করি অমৃত মন্থন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হলো চাঁদপুর সাহিত্য সম্মেলন-২০২১। শিল্প-সাহিত্যের সংগঠন সাহিত্য মঞ্চের চতুর্থ বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষে ৩১শে ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় চাঁদপুর রোটারী ক্লাবে দেশ বরেণ্য শব্দশিল্পীদের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাহিত্য সম্মেলনের কার্যক্রম। চার পর্বের অনুষ্ঠানে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বরেণ্য শব্দশিল্পীরা কবিতা, গল্প, শিল্পআড্ডাসহ শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা ও কথা বলবেন। এছাড়াও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন মতলব কবিতাঙ্গণ ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা। উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মানিক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আশিক বিন রহিম।

উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাহিত্যের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, বরেণ্য প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. সরকার আব্দুল মান্নান, কবি কামরুল হাসান, লেখক মনসুর আজিজ, জামশেদ ওয়াজেদ, সৈয়দ আহমাদ তারিক, দৈনিক বানিজ্য প্রতিদিনের সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ প্রমুখ।

কবিতা প্রহর ও সাহিত্যের কতকথা পর্বে আলোচনা ও সাহিত্য পাঠ করেন, কবি মাহাবুবুর রহমান সেলিম, ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, মোরশেদা নাসরিন, গাজী মনসুর আজিজ, দন্ত্যন ইসলাম, ফিরোজ শাহ, তছলিম হোসেন হাওলাদার, আব্দুল্লাহিল কাফি, ইকবাল পারভেজ, অনু ইসলাম, মিজান খান, গোলাম আশরাফ খান, ম নূরে আলম পাটোয়ারি, সুজন আরিফ।

সমাপনী পর্বে দেশবরেণ্য ছয়জন লেখক ও সংগঠককে দ্বিতীয়বারের মত প্রদান করা হয় ‘মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখায় পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য ছয়জন গুণি লেখক ও সংগঠক হলেন প্রবন্ধ ও গবেষণায় ড. মাসুদুজ্জামান, কথাসাহিত্যে প্রশান্ত মৃধা, কবিতায় জাহিদ হায়দার ও শেখ ফিরোজ আহমদ, শিশুসাহিত্যে ফারুক হোসেন এবং সংগঠন হিসেবে ইলিয়াস ফারুকী। সব শেষে সাহিত্য মঞ্চের চতুর্থবষে পর্দাপণ উপলক্ষে কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, ‘আমার জন্মভূমি চাঁদপুর জেলায় শিল্প-সাহিত্য চর্চা বহুকাল আগ থেকেই হয়ে আসছে। এই শিল্প-সাহিত্যে এই জেলার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। চাঁদপুরের একঝাঁক তরুণ সাহিত্য মঞ্চ সংগঠন করে সাহিত্যের নানান কাজ করছে। তারা গত বছরের ন্যায় এবারও চাঁদপুর সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে দেশের বরেণ্য সাহিত্যিকরা অতিথি হয়ে আসছেন। এতে করে প্রবীণদের সাথে নবীনদের চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে। সাহিত্যের এমন আয়োজন সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন মানচিত্র এনে দিয়েছেন। এই মানচিত্র তথা দেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানিত করে তুলবার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবো, স্বাধীনতার এই সুবর্ণ-শতকে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

এছর চাঁদপুর সাহিত্য সম্মেলনটি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল বীরসেনানীদের উৎসর্গ করা হয়। সাহিত্য সম্মেলনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চাঁদপুর পৌরসভা। আয়োজক সংগঠন সাহিত্য মঞ্চ পরিবার ইতিমধ্যে স্থানীয় সকল লেখকের সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি গঠনসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গতবারের মত এবারও আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্যে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের আগেই প্রত্যেককে একটি করে মাস্ক এবং একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৩১ ডিসেম্বর ২০২১