জাতীয়

চলমান অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করার আহ্বান

ত্যাগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এ জন্যই আন্তরিক ও নিবেদিতভাবে প্রত্যেকের কাজ করা উচিত, যাতে প্রিয় মাতৃভূমির সমৃদ্ধির পথে যে যাত্রা তা অব্যাহত থাকে এবং বিশ্বে এ দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।

” ঈদুল আজহাকে মানব কল্যাণের জন্য আত্মত্যাগের একটি মহান পদ্ধতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে কোনও মানবতার জন্য আত্মোৎসর্গে প্রস্তুত থাকা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য। ” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ সমৃদ্ধি ধরে রাখতে চাই। স্বাধীনতার যে মূল চেতনা তা সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে আমি বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, জাতি হিসেবেও আমরা বিশ্বের বুকে মর্যদার আসন নিয়ে বাস করতে চাই। ”

দেশবাসী ও হজ যাত্রীদের প্রতি ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ দেশ আমাদের, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন অনুযায়ী এদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমি এই সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখবো ইনশাল্লাহ। ”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমার সরকার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করেছে।

সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নতুন ঘরবাড়ির ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। ”

তিনি বলেন, “জাতির পিতা জনগণের মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সরকারের এই সাফল্য ভোগ করছে এবং তারা লাভবান হয়েছে। ”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মাথাপিছু আয় বাড়ার পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনের হার শতকরা ২২ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র বিমোচনের হার আরও কমে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। ”

শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ থেকে সমাজকে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অভিভাবক, শিক্ষক, ইমাম, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পুরোহিত এবং সর্বস্তরের জণগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তরুণরা যাতে বিপথগামী না হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে। ” ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশ উন্নতির পথেও এগিয়ে যাবে। ”

এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, অজিত রায় নন্দী ও বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৪১ পিএম, ২ সেপ্টম্বর ২০১৭, শনিবার
এইউ

Share