Home / চাঁদপুর / চরমোনাই ও উজানী পীরসহ ৪০ আলেমের উপস্থিতিতে চাঁদপুরে ৩ দিনের মাহফিল
mahfil

চরমোনাই ও উজানী পীরসহ ৪০ আলেমের উপস্থিতিতে চাঁদপুরে ৩ দিনের মাহফিল

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার স্টার আল-কায়েদ জুট মিল সংলগ্ন বালুর মাঠে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ ও ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত(সোম, মঙ্গল ও বুধবার) চরমোনাই -এর নমুনায় ৩ দিনব্যাপি মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে মাহফিলের জন্য মাঠ সহ সকল প্রকার প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। চাঁদপুরে এই প্রথম এত বড় মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার লোকের সমাগম হবে এই মাহফিলে।

৭ ডিসেম্বর মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও চাঁদপুর জেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা যোবায়ের আহমাদ এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয় মাহফিলের প্রস্ততি চূড়ান্ত পর্যায়ে । প্রতিদিন শতশত লোক কাজ করছে মাঠে। মাহফিলে আগত মুসল্লীদের মাহফিল শোনার সুবিধার্থে ইতিমধ্যে মাঠ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওযু-গোসল ও খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির জন্য পাম্প বসানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে অজুখানা, অস্হায়ী টয়লেট ও বাথরুম।

এছাড়াও থাকছে আগত মুসল্লিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, নিরাপত্তা ক্যাম্প (প্রশাসনিক ও সেচ্ছাসেবী), প্রায় ৩০০ সেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা কর্মী।

মাহফিলে আগত দেশবরেণ্য ওলামা মাশায়েখের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্রামাগার ও মেহমানখানা। মুসল্লীদের সার্বিক সুবিধার্থে ১ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গফুটের বিশাল পেন্ডেলসহ থাকছে শতাধিক সাউন্ড সিস্টেম। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসি টিভির বেস্টনীসহ আধুনিক সকল ব্যবস্থাপনা।

মাহফিল বাস্তাবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোঃ জয়নাল আবদিন জানান, সোমবার (৯ ডিসেম্বর)বাদ যোহর মাহফিলের উদ্ভোধনী বয়ান শুরু হবে। চাঁদপুর জেলা শহরে চরমোনাই নমুনায় ৩দিন ব্যাপী মাহফিল এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং মাহফিলে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ব্যাপকভাবে চলছে চাঁদপুর জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ব্যাপী পোস্টারিং, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ নির্মাণ ও রেকর্ডেড পাবলিসিটি।

মাহফিলের সময় সূচিঃ
তিন দিনের মাহফিলে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত কুরাআনুল কারীমের মশক, নামাজ, সুন্নাত আমলের বাস্তব প্রশিক্ষণ এবং হালকা জিকির। ১১.৩০ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত গোসল ও দুপুরের খাবারের বিরতি। নামাজ স্হানীয় মসজিদের সাথে সমন্বয় রেখে মাঠে নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিদিন বাদ জোহর থেকে বিষয় ভিত্তিক বয়ান শুরু হয়ে রাদ ১০ টা পয্যন্ত চলবে। রাত ১০ টা থেকে খাবারের পর ভোর ৪ টা পর্যন্ত ঘুম তারপর তাহাজ্জুদের আমল এবং বাদ ফজর থেকে চরমোনাই শাযেখ দ্বয়ের বয়ান,জিকির ও এশরাক। তারপর সকাল ১০ টা পর্যন্ত নাস্তা ও বিশ্রাম।

৩দিন ব্যাপী এ ইজতেমায় জাতীয় ও স্থানীয় প্রায় ৪০ জন দেশববরেণ্য ওলামা মাশায়েখ আলোচনা পেশ করবেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন-
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই), মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই), মাওলানা ফজলে এলাহী (পীর সাহেব উজানী), বেফাক মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহবুবে এলাহী (মোহতামিম, জামিয়া ইবরাহীমিয়া উজানি), মাওলানা আব্দুল আউয়াল (খলিফা,পীর সাহেব চরমোনাই রহ.), অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (খলিফা,পীর সাহেব চরমোনাই রহ.),

মুফতী সৈয়দ ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের (সাহেবজাদা, পীর সাহেব চরমোনাই রহ.), ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন (অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অব. ওমর গণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মাওলানা গাজী আতাউর রহমান (মহাসচিব, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ), মুফতি ওমর ফারুক সন্ধিপী (মুহাদ্দিস মাদানী নগর মাদ্রাসা ঢাকা), মুফতি আবু ইউসুফ আল মাদানী (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বেফাক), ড. মাওলানা মোশতাক আহমাদ (উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), আল্লামা মুফতি শফিকুল ইসলাম ( মোহতামিম, জামীয়া ইবরাহীমিয়া সাইনবোর্ড, ঢাকা),

মাওলানা আবদুল মুবিন নওশিন মিয়া (পীর সাহেব বাহাদুরপুর), মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন ওয়ালি উল্লাহ (পীর সাহেব বরগুনা), আল্লামা মুফতী মুশতাকুন্নবী (মোহতামিম, দারুলউলুম সুধন্যপুর, কুমিল্লা), মাওলানা নজরুল ইসলাম (মুহাদ্দিস ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, ঢাকা), মাওলা মকবুল হোসাইন (মুহতামিম, জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া, রামপুরা ঢাকা), মাওলানা খাজা আহমদুল্লাহ (মুহতামিম, জামিয়া আরাবিয়্যাহ কাসিমুল উলুম, জাফরাবাদ, চাঁদপুর), মাওলানা কারী আশরাফ আলী (মুহতামিম, মুমিনবাড়ি মাদ্রাসা, চাঁদপুর), মাওলানা মুফতি ত্বহা খান (শিক্ষাসচিব, জামিয়া আরাবিয়্যাহ কাসিমুল উলুম, জাফরাবাদ, চাঁদপুর)।

প্রত্যাশিত সফলতার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁদপুর জেলার আওতাধীন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনসহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

শান্তিপূর্ণ এই মাহফিল সর্বস্তরের জনসাধারণকে উপস্থিত থাকতে বিশেষভাবে আহবান করা হচ্ছে। ইজতেমা ৯ ডিসেম্বর বাদ যোহর উদ্ভোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বর বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন আমিরুল মুজাহিদিন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯