চাঁদপুরে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চাঁদপুর নৌ-সীমানার বিভিন্ন চরে দক্ষিনাঞ্চীয় ও চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী একাধীক লঞ্চ বিভিন্ন চরে আটকা পড়ে। প্রবল ঘন কুয়াশার মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো নদী পাড়ি দেয়া অবস্থায় সংঘর্ষ বাধে।
লঞ্চ যাত্রী চাঁদপুর মেডিক্যালের মালিক কবির খান জানান, রাত দেড়টা বাজে হঠাৎ চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারি লঞ্চ এমভি আবে জমজমের সাথে বালিবাহী ভলগেটের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সময় বিকট আওয়াজের শব্দ শুনে যাত্রীরা আতংকিত হয়ে লঞ্চের মধ্যে ছুটাছুটি করে কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হন। এসময় লঞ্চটি কাতহয়ে যায়। এতে করে অল্পের জন্য সহ¯্রাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পায়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় লঞ্চের সামনের অংশে ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র হয়ে যায়। যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকে। তাৎক্ষণিক লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের অদুরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্যেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি রফরফ রাত ২টায় কুয়াশার কারনে নদীতে নোঙ্গর করে থাকা আবে জমজম লঞ্চের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।
ওই সময় পুনরায় বিকট শব্দে যাত্রীরা আতংকিত হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। অনেক যাত্রী ভয়ে আবে জমজম লঞ্চ থেকে রফরফ লঞ্চে উঠে চাঁদপুরের আসার উদ্দ্যেশ্য। কিছু দুর যেতেই কুয়াশার কারনে পথ না দেখতে পেরে চলন্ত লঞ্চ রফরফের সাথে বরিশাল গামী যাত্রী বাহী লঞ্চ এমভি পূবালীর সাথে প্রচন্ড গতিতে সংঘর্ষ বাধে। এতে করে ২টি লঞ্চের সংঘর্ষে বিকট আওয়াজে লঞ্চে থাকা শত-শত যাত্রী ভয়ে আতকে উঠেন।
২টি লঞ্চের যাত্রীরা লঞ্চে ভিতরে ছুটাছুটি করতে থাকে জীবন বাচাঁনোর জন্য। এতে করে অন্য লঞ্চের আরো ১০ জন যাত্রী মারাত্বক ভাবে আহত হয়। ২টি লঞ্চের সংঘর্ষে মোট ২০ জন যাত্রীর হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ৩টি লঞ্চের সামনের অংশে ধুমড়ে মুচড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। পরে যাত্রীদের অনুরোধে লঞ্চ গুলো নোঙ্গর করে রাখা হয় চাঁদপুর নৌ-সিমানার ষাটনল নামকস্থানে।
পরে সকাল সাড়ে ৫টায় কুয়াশা কমে গেলে লঞ্চগুলো চাঁদপুরের দিকে ছেড়ে আসে প্রায় ৩ ঘন্টা বিলম্বে। এ সব যাত্রীদের মধ্যে আহত অনেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বুধবার সকালে।
অপরদিকে দক্ষিনাঞ্চীয় লঞ্চগুলো ৫-৬ ঘন্টাও ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চ গুলো ২-৩ঘন্টা বিলম্বে তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। যার ফলে প্রচন্ড শীতের মধ্যে শিশু, মহিলা, বৃদ্ব, বৃদ্বাসহ বিভিন্ন বয়সের শত-শত যাত্রীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নদীর মাঝ খানে আটকে পরে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বন্দর কর্মকতা ও উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কুয়াশার কারনে লঞ্চগুলো বিলম্বে এসেছে। এতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে লঞ্চগুলো। কুয়াশা দিয়ে ঝুকির মধ্যে চলাচল করলে দুর্ঘটনা ঘটতো। ২টি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা আমার জানা নেই। এ রকম খবর আমাকে কেউ জানায়নি।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ