Home / সারাদেশ / গৃহবধূ আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার আসামীর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে তোলপাড়
rape-nari
প্রতীকী ছবি।

গৃহবধূ আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার আসামীর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে তোলপাড়

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে এলাকার সম্পদ বললেন প্রধান শিক্ষক

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ‘মাদক স¤্রাট’ নামে খ্যাত স্বপন এবার পুলিশি পাহারায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ক’দিন ধরে গণমাধ্যমে এ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের কেন্দ্র পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বপন তো এলাকার সম্পদ। মহেশপুরের মান্দারবাড়ীয়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপন তার এলাকায় অবস্থিত এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র কাটগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরও দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, পুলিশি পাহারায় সে পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলটির একজন শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, পুলিশই তাকে সাথে করে পরীক্ষার হলে এনেছে। আর পুলিশ যদি কাউকে সাথে করে আনে পরীক্ষার হলে সেখানে আমরা কি করতে পারি। পুলিশ তো আসলে তার পকেটে।

অন্যদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তবিবার রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার একটি ব্যক্তিগত কাজে স্বপনকে স্কুল ডেকেছিলাম। সে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে আসেনি। তাছাড়া সে তো এই এলাকার সম্পদ।

একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষক কীভাবে এলাকার সম্পদ হয়?

এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এর উত্তর না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।

অন্যদিকে মাদক স¤্রাট স্বপনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এলাকায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা করছি। সামনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। পুলিশি পাহারায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে স্বপন এবং আদৌ একজন সাধারণ জনগণ পরীক্ষার হল পরিদর্শনের ক্ষমতা রাখে কি না জানতে চাওয়ার জন্য মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি দেখবো। আপাতত আমার এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে মাদক স¤্রাট নামে খ্যাত স্বপন তার মান্দারবাড়িয় গ্রামের এক গৃহবধূর সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রাজধানীতে ১৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সেই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধুর কাছে ১৩ লাখ টাকা দাবি করে বলেও অভিযোগ করেন গৃহবধূ ও তার পরিবার। এছাড়া গত কয়েকমাস ধরে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে অত্যাচার করার এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে ওই গৃহবধূ গত ২৬ জানুয়ারি স্বপনকে আসামী করে ঝিনাইদহ আদালতে পর্ণোগ্রাফি পিটিশন মামলা(নং-১/১৬) করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তে রয়েছে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট|| আপডেট: ০৯:১৬ অপরাহ্ন, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

এমআরআর