Home / চাঁদপুর / গাছতলায় সরকারি জমি নষ্ট করে ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি
গাছতলায়

গাছতলায় সরকারি জমি নষ্ট করে ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর তীরবর্তী কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ জমির মাটি কাটছেন মোহাম্মদ লিটন নামের স্থানীয় এক ইট, বালু ব্যবসায়ী। মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের তিনি স্বত্বাধিকারী।

২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পবিত্র লাইলাতুল কদর রাতে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের নিজ গাছতলা এলাকার মেরিন একাডেমীর পাশের নদীর পাড়ে ভেকু দিয়ে তিনি মাটি কাটেন। গত ৯ মার্চ চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।

জানা যায়, চাঁদপুর শহরতলীর নিজ গাছতলা এলাকার চাঁদপুর-রায়পুর ব্রিজের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে অবস্থিত মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ লিটন পাঠান দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ডাকাতিয়া নদীর তীরবর্তী স্থানে সরকারি খাস জমি কোন প্রকার লিজ না নিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। তিনি প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সরকারিভাবে কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে নদীর তীরবর্তী স্থানের সরকারি খাস জমি (ফসলি জমিতে) ভেকু লাগিয়ে মাটি কাটছেন। ওইস্থানে অবৈধভাবে দখল করে রাখা সরকারি খাস জমি এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাষ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে পবিত্র লাইলাতুল কদরের নামাজে মানুষ রাতের অন্ধকারে যখন মগ্ন তখন তিনি অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেনেছি, তা দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, লিটন সরকারি খাস জমি কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে ডাকাতিয়া নদী হতে প্রায় ২৫ শতক জমি অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রয় করছেন। সরকারিভাবে তার যদি লিজের অনুমোদন থাকে, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার কিভাবে জরিমানা করা হয়? আবার জরিমানা করার কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় লিটন একই স্থানে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৯ এপ্রিল ২০২২