চাঁদপর হাজীগঞ্জ বখাটেদের মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে হালিমা আক্তার (১৫) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দু’বখাটের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার পরচনায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী বাড়িতে ঘটেছে।
পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত হালিমা আক্তার পাতানিশ গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির ফজলুল হকের ছোট মেয়ে ও সুহিলপুর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. ইউনুস মিয়া(১৪) ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো.ইকবাল হোসেন (১৬) দু’জনে হালিমার সাথে সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। এদের মধ্যে ইকবাল হোসেনের সাথে হালিমার মাঝে মধ্যে কথা হয় বলে দাবি করেছেন ইউনুস।
বুধবার বিকালে বাড়ির আঙ্গিনায় হালিমা ও ইকবাল কথা বলতে দেখে ইউনুস। পরবর্তীতে ইউনুস আর ইকবালের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে ইকবালের হাতে মার খেয়ে ইউনুস হালিমাদের বাড়ীতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায় জিদ করে হালিমাদের ঘরের বেড়া ও জানালা কুপিয়ে তছনছ করে চলে যায়।
এ ঘটনা জানাজানির ভয়ে স্কুল ছাত্রী হালিমা ঘরের পিছনে একটি কাঠাল গাছের সাথে গায়ের উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) বলাই দেবনাথ বলেন, ইউনুস সুহিলপুর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও নিহত হালিমাও একই মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ইকবাল হোসেন সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। এরা দুইজনই হালিমাকে উক্তাপ্ত করে আসতো বলে জানা যায়। মেয়েটি এ দু’জনের আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে মান সন্মানের ভয়ে হয়তো গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে ধারণা করা যায়।
এ প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাং জাবেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে হালিমা বাবা বাদী হয়ে দু’জনকে আাসামী করে মামলা দায়ের করেছে, যার মামলা নং-১৪। আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়,হাজীগঞ্জ
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ০০ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ