Home / সারাদেশ / দুদক একটি গণ প্রতিষ্ঠান : চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
IQbal

দুদক একটি গণ প্রতিষ্ঠান : চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন,‘ আমি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত । আপনারা আপনাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন । আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণেই নির্ধারিত সময়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। দুদক একটি গণ প্রতিষ্ঠান। জনগণের কাছে দুদকেরও জবাবদিহিতা রয়েছে। তাই আপনাদেরও জবাবদিহিতা করতে হবে ।’

কমিশন বৈঠকে বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি দুপুরে সবার প্রতি তিনি তার এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

কমিশন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সভাপতিত্বে সভা সকাল ১০ টায় শুরু হয় । বৈঠক চলাকালে আকস্মিকভাবে বেলা পৌনে ১২টায় স্বয়ং দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ উপস্থিত হন। তিনি কাউকে সুযোগ না দিয়ে মাইক্রো ফোন নিয়ে কমিশন সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের উদ্দেশ্যে তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান ও তদন্তে টাইম-লাইন না মানার জন্য রেকর্ড-পত্র সময়মতো না পাওয়ার বিষয়টি আপনারা বলে থাকেন। যে বা যারা অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ করছেন না। তাদের বিরুদ্ধে কেনো দুদক আইন ২০০৪ এর ১৯(৩) ধারায় মামলা হচ্ছে না? ইচ্ছাকৃতভাবে যারা দুদকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহ করছেন না,তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। কেউ যেন ছাড় না পায়।

দুদক চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একটিও বেআইনি কাজ করতে পারবেন না। আইনি দায়িত্ব পালন না করে বসে থাকলে তা কমিশন মেনে নেবে না। এভাবে বেআইনি যুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তে টাইম লাইন না মানার সংস্কৃতি সহ্য করা হবে না। দেশের জনগণ মনে করে,সর্বত্রই দুর্নীতি রয়েছে। তাই দুদকের প্রতি তাদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। তাদের চাহিদার তুলনায় কমিশনের জোগানতো নগন্য। এর দায় কে নেবে? আপনাদেরই নিতে হবে। আপনাদের পদোন্নতি,দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ সবইতো দেয়া হচ্ছে। তারপরও আপনারা কেন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন না। বছরের শুরুতেই সতর্ক করছি। গুণে গুণে হিসাব নেয়া হবে। কেউ ব্যর্থ হলে জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তিও পেতে হবে।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক মামলা দায়ের করার পর, সে মামলায় তো ফাইনাল রিপোর্ট (মিথ্যা) হতে পারে না ? এ জাতীয় ঘটনা, কীভাবে কমিশনে উপস্থাপিত হয় ? তাহলে আপনারা কি দুদক আইনের ২৮ ধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও রাখেন না ?

কেউ যদি তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হয়ে তথ্য দিয়ে কমিশনে মামলা দায়েরের সুপারিশ করে অনুমোদন নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৮ (গ) ধারায় মামলা মামলা হচ্ছে না কেন ? আজ থেকে এ জাতীয় মিথ্যা মামলা দায়েরকারী যেই হোন না কেন তার বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৯ জানুয়ারি ২০২০