আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় পর্বের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দিয়েছে চাঁদপুরের তৃণমূলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী। শনিবার (৩০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন প্রাঙ্গণে এ বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মূলত ইউনিয়ন পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে এ বর্ধিত সভার অয়োজন করা হয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলা ছাড়াও রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ায়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বেস কয়েকজন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানা যায়, মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বর্ধিত সভাটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের আমাদের সফলতা গ্রামাঞ্চলে পেওঁছে দিতে হবে। মানুষের সাথে মিশে তাদের কাছে ভালো কাজের কথা তুলে ধরতে হবে। সকল ভাতা একমাত্র এই সরকার করছে। এগুলো প্রচার করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কর্মী নিয়ে গ্রুপিয় করে তাদের প্রার্থী দেয়া হবে না। চাঁদাবাজী করে, কালো বাজারী, অন্যায়, সুভিধাভোগী, যাদের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় আছে তাদে সকল রিপোর্ট আছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন মানুষ ও দেশের কল্যাণে। তাই মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের জন্য রাজনীতি করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়েবেন। ‘তার আদর্শে গড়ে ওঠে দেশের কল্যাণে আপনাদেরও কাজ করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, মানুষ দল ত্যাগ করে মন্ত্রিত্বের জন্য, কিন্তু জাতির পিতা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন মানুষকে ভালোবেসে। বাংলাদেশের মানুষ এ পর্যন্ত যা পেয়েছে, তা রক্ত দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে।
এদিকে গণভবনের প্রধানমন্ত্রীয় উপস্থিতিতে বর্ধিত সভায় যোগ দেয়ার অনুভূতি প্রকাশে সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের সাথে এই সভা করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যার এই রাজনীতিক দূরদর্শিতার আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তিনি নির্বাচনের আগেভাবের তৃণমূল নেতাদের মতামত নিয়েছেন এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের খবরগুলো প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পোঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
৯নং বালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম মিজি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা অত্যান্ত সময়উপযোগী। এই উদ্যোগে আমারা তৃণমূল নেতাকর্মী খুবই সন্তুষ্ট এবং আনন্দিত। আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে আমরা খুবই উৎসাহীত হয়েছি। আমরা আশা করবো এই ধারাবাহিকতা যাতে আগামীতেও অব্যাহত থাকে।
এর আগে গত ২৩ জুন জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলার চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম