ডেস্ক:
১৫ বছর ধরে ক্রিকেট, ক্রিকেট আর ক্রিকেট৷ তার অভ্যেস, তার সঙ্গী৷ তার অনুভূতি, আবেগের রামধনু৷ ক্রিকেট নিয়ে যে মানুষটার কেটে যেত সকাল থেকে রাত, তিনি পরিবারকে সময় দিতেন কখন? দিলেও কতটুকু? সামাজিক জীবন বলতে আদৌ কি কিছু অবশিষ্ট ছিল? ছিল, অবশ্যই ছিল৷
জানিয়ে দিলেন কুমার সাঙ্গাকারার স্ত্রী ইয়েলি৷ বলেন, ‘বাড়িতে কোনওদিনই ও ক্রিকেটার সাঙ্গাকারার ভাবমূর্তিতে থাকে না৷ আমার কাছে ও তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার নয়৷ তার থেকেও বেশি কিছু৷ ও ভাল স্বামী৷ ভাল বাবা৷ ও যেখানেই যেত, আমাদের সঙ্গে নিত৷ তবে বাড়িতে কোনও সময় একা থাকলে, বইয়ে মুখ গুঁজে থাকে৷ পড়াশোনা করতে খুব ভালবাসে৷’
কখনও ক্রিকেট নিয়ে চর্চা করেন না? উত্তর ইয়েলি নয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন সাঙ্গাকারা নিজেই, ‘জিতি বা হারি, সেই আবেগ বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইনি কখনও৷ বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান, বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ, ওরা আমাকে বুঝেছে৷ বাড়িতে থাকলে, ক্রিকেট দ্বিতীয় হয়ে যায়৷ তখন পরিবার যা চাইছে, সেটা করার চেষ্টা করি৷’
সত্যিই? আপাত শান্ত সাঙ্গাকারার সঙ্গে কখনও কি ঝামেলা লাগেনি তার, ঠিক যেমনটা ঘটে অন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে? ইয়েলি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, হয়৷ তবে আমি সেই লড়াইয়ে জিতি৷’ সাঙ্গাকারার জীবনের এক গোপন দিকের এর পর হদিসে দিয়েছেন ইয়েলি৷ কী সেটা? ‘ওর ব্যাটের হাত শুধু নয়, রান্নার হাতও খাসা৷ দারুণ পাস্তা বানায়’৷
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/2015।