Home / জাতীয় / কে এই স্যার ফজলে হাসান আবেদ
Fazle abed

কে এই স্যার ফজলে হাসান আবেদ

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

আগামী রোববার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে বারোটায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশী সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য জীবনে তিনি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

তার জীবনের প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে- র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮০), ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫), অ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০), উনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২), সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১), শোয়াব ফাউন্ডেশন ‘সামাজিক উদ্যোক্তা’ পুরস্কার (২০০২), গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)।

জাতীয় আইসিএবি (২০০৪), জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪), হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭), প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭), পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭), ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)।

দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ‘নাইটহুডে’ ভূষিত হন। বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি তিনি।

এছাড়া আরও রয়েছে এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯), ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১), সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩), লিও টলস্টয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪), বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫), ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)।

বার্তা কক্ষ, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯