ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিপিএলের পঞ্চম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়েছে শনিবার(২৮ অক্টোবর) । সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় বেছে নিয়েছেন।
আর এ সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই দলের মধ্যে সিলেট সিক্সার্সে এবার খেলার সুযোগ পেয়েছেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কড়ইশ এলাকার মোঃ মঞ্জুরুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান রানা। বা হাতি এ পেস বোলার ইতিমধ্যে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। দীর্ঘদিন ইনজুরিতে থাকার কারণে দেশের হয়ে বিভিন্ন স্থানে তার খেলার সুযোগ হয়নি। এর আগে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে বোলিংয়ে খুব ভালো করেছেন। এই প্রথম তার বিপিএলের হয়ে মাঠে নামা হবে।
সিলেট সিক্সার্সে দেশী খেলোয়াড়ঃ নাসির হোসেইন, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন (সিনিয়র), তাওহীদ হৃদয়, নাবিল সামাদ, এবাদত হোসেন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক ও মেহেদী হাসান রানা।
বিদেশী খেলোয়ারঃ সোহেল তানভীর, ডেভিড ওয়ার্নার, সন্দিপ লামিচেন, ফ্যাবিয়ান এলেন, মোহাম্মদ ইরফান, গুলবাদিন নায়েব, আন্দ্র ফ্লেচার, পেট ব্রুন ও নিকোলাস পুরান।
কচুয়ার মেহেদী হাছান রানা ২০০৯ সালের থেকে চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীর সাথে জড়িত রয়েছেন। তাকে একবার জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবলে কচুয়া উপজেলার হয়ে খেলতে দেখা গেছে। ক্রিকেটের মতোই ফুটবল খেলায়ও দেখা গিয়েছিলো তার ফুটবল খেলার বিভিন্ন নৈপূন্যতা। মেহেদী চাঁদপুর জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অংশ নেয়। ভালো বোলিংও খেলার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলার সময় বিসিবির পেস বোলিং বিভাগে ডাক পেয়ে এখনও নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন।
তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, ভারতসহ অনেক স্থানেই খেলেছেন। ঢাকাতে শেখ জামাল ক্লাব ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে চট্টগ্রামে জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলছেন। তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন একসাথে মেহেদী হাসান মিরাজ, কাটার মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাইফুদ্দিন, নাজমুল হাসান শান্ত, লিটন কুমার দাস, জুবায়ের হোসেন লিটন ।
মেহেদী হাসান রানার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘আমি দেড় বছর যাবত ইনজুরিতে ছিলাম। আমি যে দলে ডাক পেয়েছি এতে আমি নিজে অনেক আনন্দিত। আমি শতভাগ চেষ্টা করবো সিলেট সিক্সার্সে কিছু ভালা খেলা উপহার দিতে। দলটি যাতে পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারে এ জন্য আমার সাধ্যমত্যে যতটুকু করার ততোটুকু চেষ্টা করে যাবো।’
আমি আমার স্যার শামিম ফারুকীসহ চাঁদপুরবাসীর সকলের দোয়া ও সর্মথন আশা করছি। আমি যেই ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাই সে ম্যাচেই যেনো ভালো কিছু করতে পারি।
বার্তা কক্ষ
২৮ অক্টোবর,২০১৮