কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর টাইমস:
কুমিল¬ার বুড়িচং থানার ঘোষনগর এলাকায় চাঞ্চ্যলকর নির্মাণ শ্রমিক শের আলী হত্যা মামলার এজহারভূক্ত প্রধান আসামী মোঃ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক ইমাম হোসেন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের সূত্র ধরে সিলেটের ফেন্সুগঞ্জ এলাকা থেকে বিকাশের ফাঁদ পেতে আসামী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে উল্লে¬খ করা হয়, জেলার সদর দক্ষিন উপজেলার মনিপুর গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে শের আলী বেশ কিছুদিন ধরে ময়নামতির ঘোষনগর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। গত ২৩ জুন বিদ্যুতের ক্যাবল দিয়ে হাত পা বেধেঁ লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শের আলীকে পিটিয়ে নির্যাতন করে হত্য করে।
পরে নিহতের বড় ভাই বাবুল মিয়া ওই দিন রাতে বাদী হয়ে ঘোষনগর গ্রামের মোঃ মালেক হাবিলদারের ছেলে মোঃ সুজন মিয়াসহ তিনজনকে আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আটক সুজন মিয়া কুমিল¬ার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসের আওতাধীন একটি আমের বাগান লীজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ওই বাগানের আম বিক্রির টাকা ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধের জের ধরে জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।
পুলিশ জানায়, মৃত শের আলী এবং তার ভাই জহির কেন্টনমেন্ট এলাকায় নির্মানাধীণ মার্কেটে ঠিকাধারী ভিত্তিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো। হত্যাকান্ডের আগে মামলার এজাহারভুক্ত তিন নং আসামী হামজা সিকদারের সাথে ঠিকাদারী ভিত্তিতে শ্রমিকের কাজের টাকার দর দাম নিয়ে শের আলী এবং তার ভাই জহিরের সাথে বিরোধ চলে আসিছিলো। কম দর দেয়ার কারণে মৃত শের আলী মার্কেটের কাজটি পেয়ে যায়। এতে তার বড় ভাই জহিরের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসব কারণেই হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে।
চাঁদপুর টাইমস- জেএআই/ডিএইচ/2015।