মিজানুর রহমান রানা | আপডেট: ০৭:৩৬ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার
এই ফুটফুটে চাঁদের বুড়ি মেয়েটির দোষ কোথায়? কেনো তাকে এভাবে নির্মম নির্যাতন করে চিরতরে বাকপ্রতিবন্ধী মানসিক রোগীতে পরিণত করা হলো?
কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসে সাপ! মঙ্গলবার চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা গেলো শিশু সুমাইয়ার সেই করুণ কাহিনী।
১০ আগস্ট সোমবার দুপুর ১১টা। প্রতিদিনকার মতোই চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়ার পাটওয়ারী বাড়ির স্বপন পাটোয়ারীর পরিবারের সদস্যরা দিনের কর্ম শুরু করেছিলো। কিন্তু সেই কর্মযজ্ঞ সইলো না প্রতিবেশী চাচা আবু তাহের পাটোয়ারীর (৪০) কাছে।
পারিবারিক সামান্য ছুতা নিয়ে হামলা করে স্বপন পাটোয়ারী ও তার মেয়ে সুমাইয়ার ওপর।
জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে ওই বাড়ির আঙিনায় পানি জমা হতো। মানুষজন চলাচল করলে আবু তাহের পাটোয়ারীর ঘরের দাওয়া ভেঙ্গে যায় সেই অজুহাতে শুরু হয় বাদানুবাদ। বাদানুবাদ থেকে ঝগড়া এক পর্যায়ে আবু তাহের পাটোয়ারী ও তার ছেলে জসিম (২০) হামলা চালিয়ে স্বপন পাটোয়ারীকে মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আর শিশু সুমাইয়া (১১) এর ওপরও হামলা করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তাদেরকে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে স্বপন পাটোয়ারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে।
অন্যদিকে শিশুর অবস্থাও অবনতি হতে হতে সে বাক প্রতিবন্ধী মানসিক রোগী হয়ে যায়। সে এখন শিশুসুলভ করুণ চোখে বাকহীনভাবে তাকিয়ে থাকে। নিজের মা-ভাইবোন সহ কাউকেই চিনতে পারে না। তার বাবার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, তার বাবাকে লোকজনরা মেরে ফেলেছে। তার মাকে সামনে দেখেও তাকে চিনতে পারে না।
এখন প্রশ্ন কী দোষ ছিলো সুমাইয়ার?
এ ব্যাপারে তার মা অভিযোগ করে জানান, “হামলাকারী মেয়েটির চাচা ওই বাড়ি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্যে এই হামলা চালায়। এছাড়াও মেয়েটির চাচাতো ভাই জসিম মাঝে মাঝেই ওই শিশুকে ধর্ষণ করারও চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু লোকজন দেখে ফেলায় সেই চেষ্টা সফল হয়নি।”
এ ব্যাপারে জানার জন্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মেয়েটির চাচা বা চাচাতো ভাইকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫