চাঁদপুর সদর

কল্যাণপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল প্রধানিয়ার মৃত্যু

চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল প্রধানিয়ার ২২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জের চাষার নিজ বাসায় হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ( ইন্ন … … রাজেউন )। বাদ যোহর কল্যান্দির নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাঁেক দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ।

কামাল হোসেন কল্যাণপুরের পূর্ব কল্যান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী আবিদ আলী প্রধানিয়া ও মাতার নাম সাজেদা বেগম। ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ্য ।

১৯৮৯ সালে সফরমালী হাই স্কুল থেকে এস এসসি পাস করার পর নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা শুরু করেন। নিরলস পরিশ্রম ও সৎ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি এ্যাম্বয়ডারী ফ্যাক্টোরী ও নিজিস্ব একটি থাই এলমুনিয়ামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ছিলেন।

এছাড়াও তিনি কল্যান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এ প্রতিষ্ঠানের সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজকে সম্পৃক্ত রেখে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর স্কুলটি একটি নির্বাচনি কেন্দ্র থাকায় কাজ করেন ।

বর্তমানে কামাল হোসেন কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লীগের চাঁদপুর সদরের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুর সদরে কল্যাণপুর ইউনিয়নের সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে’ কামাল হোসেন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড.সামছুল হক ভূঁইয়ার নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে যোগদানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কাজ করার সুযোগ আসে। ২০১৯ সালে তিনি কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সেই থেকে কল্যাণপুর ও সদরের সকল দলীয় কর্মকান্ডে সক্রীয় অংশগ্রহণ করছেন তরুণ এ নেতা কামাল হোসেন। প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর সাহাদাত বার্ষিকী পালন,দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী,সাংগঠনিক গণসংযোগ,শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনির দু’বারের নির্বাচন,উপজেলা নির্বাচনে কল্যাণপুরে তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। ।

তাঁর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাস,মাদক,ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনিমার্ণে ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে কাজ করে আসছিলেন। তিনি ও তাঁর পিতা-মাতা হজ্বব্রত পালন করেন।

আবদুল গনি , ২৩ নভেম্বর ২০২০

Share