Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা বললেন পরিবার
কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর, কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর

কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা বললেন পরিবার

চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান মো.আবু ওসমান চৌধুরী সুস্থ আছেন।

২৫ আগস্ট মঙ্গলবার ফেসবুকে কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। এরপর কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরীর ছোট মেয়ের জামাই খোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁদপুর টাইমসকে জানান,আমার শ্বশুর বেশ কিছু দিন ধরে গুলশানস্থ বড় মেয়ে নাছিমা ওসমান চৌধুরীর বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরো জানান,আমার শ্বশুর দীর্ঘদিন বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত রয়েছেন। বর্তমান উনার অবস্থা আগে তুলনায় ভালো আছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাকে নিয়ে আগ বাড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের তথ্য প্রচার করা থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানান তার পরিবার।

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর তার সহকারী আবুল বাশার বলেন, ‘বীর উত্তম সি আর দত্ত মারা যাওয়ার পর অনেকে ভুলবশত স্যার (আবু ওসমান চৌধুরী) মারা গেছেন বলে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এটি আসলে সত্য নয়, স্যার সুস্থ আছেন।’

ফলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আবু ওসমান চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মদনেরগাঁও গ্রামের চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ চৌধুরী এবং মায়ের নাম মাজেদা খাতুন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদে কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ তিনি চুয়াডাঙ্গার ঘাঁটিতে পৌঁছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সৈন্যসহ যোগ দেন। এর আগে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ আবু ওসমান চৌধুরী পদ্মা-মেঘনার ওপারে কুষ্টিয়া থেকে বরিশাল জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে ‘দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গন’ নামকরণ করে সেই রণাঙ্গনের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাকে দক্ষিণ পশ্চিমাংশের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করে।

১৯৭১ সালের মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টর গঠন করেন। ৮নং সেক্টরের দায়িত্ব পান আবু ওসমান।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২৫ আগস্ট ২০২০