করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াসহ নানা দিক বিবেচনা করে বাড়ি ভাড়া কমানো এবং হোল্ডিং ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল মওকুফের আহ্বান জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠন নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটি এবং লকডাউন চলায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাসার বাইরে যেতে পারছে না। জীবন জীবিকার জন্য দৈনন্দিন কাজে যোগ দিতে পারছে না। রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ হয়েছে কর্মহীন। এর মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। একদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, অন্যদিকে অর্থের অভাব। এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। এই পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণের পক্ষে বাসা ভাড়া দিয়ে নগর জীবনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্যদিকে অনেক বাড়ির মালিকের পরিবার শুধু বাড়ি ভাড়ার ওপরেই নির্ভরশীল। তাদের অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ভাড়ার টাকা দিয়ে ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করেন। এই অর্থনৈতিক সংকটে এর একটি বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক সমাধান প্রয়োজন। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়পক্ষের সুবিধার কথা চিন্তা করে দুর্যোগকালীন সময়ে বাসা ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংগঠনের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি জানান।
নাবিকের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো হলো:
১. সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসমূহ সরকার ঘোষিত করোনার দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা।
২. যেসব বাড়ির মালিকদের ভাড়াকৃত বাড়ি নির্মাণের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ আছে, তাদের ব্যাংক ঋণের কিস্তি অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের জন্য সুদ মুক্ত অবস্থায় স্থগিত করা। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা।
৩. সরকার ঘোষিত করোনার দুর্যোগকালীন সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা।
৪. দুর্যোগকালীন সময়ে বাড়িভাড়া অর্ধেক কমিয়ে আনা। ক্ষেত্রবিশেষে এই দুর্যোগকালীন সময়ে ভাড়া সংক্রান্ত অপারগতায় মানবিক কারণে বাড়ির মালিক তার ভাড়াটিয়াকে প্রয়োজনীয় সময় প্রদান করতে পারে। কোনও ভাড়াটিয়া স্বেচ্ছায় সম্পূর্ণ ভাড়াও পরিশোধ করতে পারবেন।
বার্তা কক্ষ ২৪ এপ্রিল ২০২০