Home / বিশেষ সংবাদ / কম খরচে ও ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন যে ১০ দেশে
কম খরচে ও ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন যে ১০ দেশে

কম খরচে ও ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন যে ১০ দেশে

কম খরচে এবং ভিসা ছাড়াই দেশের বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন! তাই না? অবাক হচ্ছেন এই ভেবে ভিসা ছাড়া দেশের বাইরে কীভাবে যাওয়া যায়! হ্যাঁ, হাতেগোনা কিছু দেশ আছে যেখানে যাওয়ার জন্য কোন ভিসা লাগে না। তেমনি একটি দেশ হল ভূটান। ভিসা ছাড়া অল্প খরচেই ঘুরে আসা যায় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভূটান থেকে।

হিমালয় কন্যা ভূটান। কম খরচে অনেক কিছু দেখার আছে এখানে। ভিসার ঝামেলা নেই, ফলে খুব সহজে ঘুরে আসা যায় এই অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশটি থেকে।

কীভাবে যাবেন
ভূটান যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই। ভারত-ভূটানের বর্ডার ওপেন, সেজন্য ভিসা না লাগলেও এন্ট্রি পারমিট নিতে হয়। যা ভিসার কাজ করে। এখানে একটি কথা জেনে রাখা ভালো তা হল এয়ারপোর্টে অন এরাইভাল যে ভিসা দেয় তা শুধু ভুটানের তিনটি শহর ফুয়েন্টশোলিং, থিম্পু আর পারোর জন্য। অন্য জায়গাগুলোতে যাওয়ার জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ভিসা নিতে হয়।

ভুটানে ঢোকা তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না। ভারতের নাগরিক এবং বাংলাদেশীদের জন্য ভূটানে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা। পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদেরকে প্রতিদিনের জন্য ২০০ ডলার করে ফী দিতে হয় ভূটান সরকারকে।

ভূটানে আকাশপথ ও সড়ক পথ দুইভাবে যাওয়া যায়। আকাশ পথে যেতে একটু বেশি খরচ পড়বে। আনুমানিক ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা বাই এয়ারে লাগবে। ভুটানে শুধুমাত্র একটি এয়ারলাইনের প্লেনেই যাওয়া যায়। এছাড়া বাই রোডে ভূটানে যাওয়া যায়। ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে, ভূটানের ফুটসলিং হয়ে থিম্পু।
কমলাপুর থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাস ধরতে পারেন। ভাড়া নেবে ১৩০০ টাকার মত। রাতে রওনা হয়ে শিলিগুড়ি পৌছাবেন পরদিন দুপুর ১২ টার দিকে। বাসে যাওয়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী।

কোথায় থাকবেন-
ফুয়েনশলিং-এ ফাইভ স্টারের সাথে সাথে থ্রি-স্টার মানেরও কিছু হোটেল পাবেন। হোটেল ডেসটিনি, এমবিয়েন্ট ক্যাফে, নরজিন লাম ভূটানের কিছু হোটেলের নাম। চাইলে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন। ভাড়া ৮০০/- রুপির মত পড়তে পারে। রাতটা ওখানে থেকে সকালে বাসে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ভূটানে দ্রব্যমূল্য বেশি, তাই এখানে একটু বুঝে শুনে খরচ করতে হবে।

কোথায় ঘুরবেন
ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর ফুয়েনশলিং, রাজধানী থিম্পু, সাবেক রাজধানী পুনাখা, এয়ারপোর্টের শহর পারো এগুলো হল ভূটানের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান। এগুলোতে অব্যশই ঘুরবেন। বিশেষ করে পারো, এবং এর পাহাড়ী সৌন্দর্য্য অতি মনোমুগ্ধকর। ভূটানের কেনাকেটা করার সম্পর্কে গৃহিণী রোকসানা লিনা বলেন “ ভূটান অনেক এক্সপেন্সিভ জায়গা। এখানে কেনাকাটা না করাই ভাল। ওদের নিজেদের প্রডাক্ট নেই বললেই চলে। প্রায় সবই ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশি প্রডাক্টও প্রচুর। আর আছে চাইনিজ আর থাইল্যান্ডের পন্য”। তাই কেনাকেটার ইচ্ছা বাদ দিয়ে শুধু ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভূটান অতুলনীয়।

টিপস-
-ভূটান যাওয়ার সময় ইমিগ্রেসনে পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগে।তাই মনে করে ছবি আর পাসপোর্ট নেবেন সাথে।
-ভূটান সফরের জন্য গ্রুপ করা খুবই ভাল। সর্বোচ্চ ৮ জনের গ্রুপ হলে ভাল হয়। এতে ট্রান্সপোর্ট ও হোটেল পাওয়া সহজ হয়। আর খরচও অনেকটা কমে যায়। প্রতি কাপলের যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৪ রাতের ট্যুরে প্রায় ২৫,০০০/- টাকার মত খরচ হয়। -ভূটান ঘুরার জন্য ৩ দিনই যথেষ্ট। ৩ দিনে মোটামুটি সব ঘোরা হয়ে যায়। -ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য আগেই টোকেন নিতে হবে। (সূত্র: প্রিয় লাইফ)

Leave a Reply