হাজীগঞ্জে বিয়ে করতে এসে কনে ছাড়াই ফিরল বর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়ার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড়-নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বরপক্ষ এবং মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হলো স্থানীয় দু’টি এতিমখানায়।
জানা যায়, ওই ছাত্রী স্থানীয় ইছাপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে বরযাত্রী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। প্রায় ১ ঘণ্টা পর কাগজপত্র না দিয়ে সম্প্রতি নেয়া নতুন একটি জন্মনিবন্ধন দেখান ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা।
বৈশাখী বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার স্থানীয় লাওকরা হযরত আমানত শাহ ও শাহেনশাহ (রহ.) হাফিজিয়া মাদরাসায় বিতরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, থানা উপ-পরিদর্শক রমিজ উদ্দিনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
করেসপন্ডেন্ট , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০