১৩ নভেম্বর- পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমান দিনে স্বাভাবিক থাকলেও গভীর রাতে একা একা কাঁদে।
গতরাতে সে অঝোরে কেঁদেছে। তবে অনুশোচনা থেকে নাকি নিজের পরিণাম ভেবে কান্নাকাটি করেছে সে ব্যাপারে কারারক্ষীরা তার কাছে জানতে চাইলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ফাঁসির রায়ের সময় কাঠগড়ায় এবং কারাগারে গিয়ে দিনের বেলায় নিজেকে সামাল দিতে পারলেও গভীর রাতে ঐশী ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে।
আদালত থেকে গাড়িতে ওঠার সময় ওড়না দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রাখলেও কারাগারে গিয়েও রাতের বেলায় নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারেনি। রাতে ঘুমানোর সময় সে অঝোরে কাঁদে। মহিলা সেলের কারারক্ষীরা তাকে এসময় সান্ত্বনা দেয়। এরপরও তাকে বহুবার কাঁদতে দেখা যায়। তবে আজ সকাল থেকে তাকে স্বাভাবিক দেখা গেছে। তাকে কারাগারে দেওয়া কয়েদিদের পোশাকও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে গতকালই। কারাবিধি মোতাবেক তার খাবার-দাবারের পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগারের বিধান অনুযায়ী ঐশীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে আড়াইশ গ্রাম চালের ভাত, মাছ, মাংস, সবজি ও ডাল।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নেসার আলম মুকুল বলেন, “কারাগারে আনার দিন রাতে কিছুটা কান্নাকাটি করেছে ঐশী তবে এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো পর্যন্ত পরিবোরের কেউ ঐশীর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি।”
গতকাল বৃহস্পতিবার বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগে ডাবল মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ১১:৪০ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫,শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur