সারাদেশ

হরিপুরে কচু চাষে ঝুঁকেছে কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কৃষিতে ক্ষতি পুঁশিয়ে নিতে কচু চাষ করতে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। কচু এমন একটি সবজি যার লতি, ডাটা ও কচি পাতা সমাজের প্রতিটি মানুষের নিকট সুষম পুষ্টিকর সবজি বলে পরিচিতি এর পুষ্টি গুনও অনেক।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উপজেলার বড় বরমপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের আবু হায়াত নামে এক কৃষক ৪ বিঘা জমিতে কচুর আবাদ করেছে। আর কয়েক দিন পারেই তা মাঠ থেকে তোলা যাবে।

কৃষক আবু হায়ত বলেন, কৃষিতে বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে প্রতি বছর কৃষিতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। এই ক্ষতি পোষাতে আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আমাদের গ্রামে কৃষক মাঠ স্কুলে কৃষির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি গত বছর ১৬ শতাংশ জমিতে ২ মণ কচুর বীজ কিনে কচু চাষ করে ১৬ হাজার টাকা পাই। খরচ হয় মাত্র ৩ হাজার টাকা, অল্প খরচে অধিক লাভ।

তিনি আরো জানান, কচু ঝড়, বৃষ্টি ও অতি ক্ষরাতেও নষ্ট হয় না। এতে কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় না। তাই আমি এ বছর জমি থেকে আলু তোলার পর ৪ বিঘা জমিতে দেশী কচুর আবাদ করেছি; ১০-১৫ দিনের মধ্যে তুলতে পারবো। ৪ বিঘা কচু আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা। গত বারের চেয়ে এবার ফলন বেশি হবে। বর্তমানে বাজারে দেশী কচু বের হতে শুরু করেছে দামও ভাল ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আশা করি এই ৪ বিঘা কচুতে আমি প্রায় ২ লখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নঈমুল হুদা সরকার বলেন, এই উপজেলার কিছু কিছু এলাকার মাটি কচু চাষের জন্য উপযোগী। আমরা সেসব এলাকার কৃষককে কচু চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, এ বছর উপজেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে কচু আবাদ হয়েছে। কচুতে রোগ বালাই কম ও কীটনাশক ছাড়াই আবাদ করা যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আবাদে খরচ কম ও পঁচনশীল নয়। তাই কৃষিতে ক্ষতি পুঁশিয়ে নিতে কৃষক কচু চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।

প্রতিবেদক : কবিরুল ইসলাম কবির, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ : ০৬ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
এইউ

Share