Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফাটল : আতংকে শিক্ষার্থীরা
কচুয়া নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফাটল : আতংকে শিক্ষার্থীরা

কচুয়া নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফাটল : আতংকে শিক্ষার্থীরা

যে কোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানির আশংকা

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে দু’টি ভবনে বিশাল ফাটল দেখা দিয়াছে। ফলে যে কোনো সময় দেয়াল ধ্বসে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আংশকা করছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দ্বিতল বিশিষ্ট শিক্ষক ভবন ও পশ্চিম পাশে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ভবন ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয়। ভবন দুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে। শ্রেণী কক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাধ্য হয়ে সহকারী শিক্ষক মিলনায়তন, উপরে শ্রেণী কক্ষ ও পশ্চিমে পাশের দুই কক্ষ বিশিষ্ট অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে।

মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের গিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষক মিলনায়তনের ভেতরে ও বারান্দার এবং শ্রেণীকক্ষের ভবনটি গত কয়েক মাস ধরে খসে খসে পড়ছে। অবাক হলেও সত্য মঙ্গলবার দুপুর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন ওই দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অতি মাত্রা হারে ধ্বসে পড়ে। এতে শ্রেণীকক্ষে থাকা কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ আতংকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, গত ০৩ জানুয়ারি রাতে ভূমিকম্প হওয়ায় ভবন দুটি আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, শ্রেণীকক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়াল ধ্বসে পরার বিষয়টি শুনেছি। ভবন দুটিতে ক্লাস না নেয়ার জন্য নিষেধ করেছি। এদিকে নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ধ্বসে পড়া ভবন অতি দ্রুত সংস্কার ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া করেসপন্ডেন্ট

|| আপডেট: ০৯:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

এমআরআর