চাঁদপুর কচুয়ার আটোমোর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার(১৪ মে) শ্বশুর বাড়ীর লোকজন সাবেক জামাতা কোরবান আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেন।
সরে জমিনে গেলে কচুয়ার আটোমোর গ্রামের অধিবাসী মো. আলী আর্শ্বাদ, লোকমান মিয়া, নাসির, রাসেল, জামাল কামাল, আয়েশা বেগমসহ আরো অনেকে জানান, ৮-৯ মাস পূর্বে মোস্তাক মিয়ার স্কুলে পড়ুয়া মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে কুমিল্লায় পালিয়ে যায় পাশ্ববর্তী শুয়ারুল (পশ্চিমপাড়া) মোরগারপাড় গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে কোরবান আলী।
পরবর্তীতে ২ মাস পর ওই মেয়েকে নিয়ে কোরবান আলী বাড়ীতে ফিরে এসে বিভিন্ন ভাবে যৌতুক দাবী করে ওই মেয়েকে মারধরসহ নির্যাতন শুরু করলে একপর্যায়ে গত ৩ মাস আগে স্থানীয় ভাবে শালিশের মাধ্যতে তাদের ডির্ভোস (বিচ্ছেদ) হয়ে যায়।
কিন্তু তার পরেও কোরবার আলী বিভিন্ন ভাবে ওই মেয়েকে পূনরায় পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শ্বশুর বাড়ীতে আগে পড়ে একে একে পাঁচ বার খরেরগাঁদা, ভূট্রার জমির কাটাসহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করে আসছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।
বিভিন্ন ভাবে তাদের ক্ষতি করতে না পেরে সর্বশেষ গত শনিবার রাতে মোস্তাক মিয়া, ও আলী আর্শ্বাদ মিয়ার দুটি খরের গাঁধায় কোরবান আলী দলবল নিয়ে খরের গাধাঁয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বাড়ীর লোকজন দাবী করছেন।
মোস্তাক মিয়া জানান, আগে কোরবান আলী আমার একমাত্র ছেলেকে মেরেছে। মান সম্মানের কারনে আমি আমার মেয়ের অনেক ক্ষতি হওয়া সত্বেও মেয়েকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আশি। কিন্তু এখনো কোরবান আলী প্রতিশোধ নিয়ে আমার ও আমার বাড়ীর লোকজনের পিছু লেগেছে।
একই বাড়ীর গৃহবধূ আয়েশা বেগম বলেন, আমরা এখন প্রতিদিন রাত্রে ঘুম হারাম করে, কখন আমাদের কি ক্ষতি হয়ে যায়, সেই ভয়ে ছেলে সন্তান নিয়ে‘ জনৈক কোরবান আলী’ আসছে এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কোরবার আলীর মামা আব্দুল আউয়াল মুটো ফোনে বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় ভাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাধ্যমে জেনেছি, এ নিয়ে আগামী শুক্রবার শালিশ বৈঠক হবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে অভিযুক্ত কোরবান আলীর বক্তব্য জানতে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেট
১৪ মে ২০১৯