উপজেলা সংবাদ

কচুয়ায় মাহফিলের তাবারুক খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত ৫০

জিসান আহমেদ নান্নু,কচুয়া | আপডেট: ০৮:৩২ অপরাহ্ণ, ২৯ আগস্ট ২০১৫, শনিবার

চাঁদপুর জলোর কচুয়া উপজেলার বড়তুলাগাও গ্রামে মাহফিলের বাসী (নষ্ট) তাবারুক খেয়ে অন্তত ৫০জন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ওই গ্রামের নকোড়া বাড়ির সায়েরা বেগম (৩২), তার পুত্র রাকিব (১৫), রবিন (১২) ও কন্যা বৃষ্টি (৪) ও একই বাড়ির ফাতেমা আক্তার (২৪), মতলবের আইসিডিডিআরবি (কলেরা) হাসপাতালে এবং এছাড়া একই বাড়ির সোনিয়া আক্তার (২৫) ও তার পুত্র আরাফাত (৫) কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাতে বড়তুলাগাঁও বড় বাড়ির জামে মসজিদে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাহফিল শেষে রাত ১২টার দিকে মাহফিলে যোগদানকারীদের মধ্যে পলিথিনের ব্যাগে করে তাবারুক (ছাগলের মাংস দিয়ে তৈরি বিরিয়ানী) বিতরণ করা হয়। ওই তাবারুক খেয়ে বড়তুলাগাঁও গ্রামের অন্তত ৫০ ব্যক্তি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়।

আক্রান্তদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, পলিথিন ব্যাগের এ তাবারুক ঘরে রেখে দিয়ে পরদিন শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টার মধ্যে তারা খায়। আক্রান্তদের মধ্যে এ রিপোর্ট লেখার সময় ২৭/২৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠে এবং ২২/২৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার দিনভর কচুয়া উপজেলার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একদল স্বাস্থ্য কর্মী বড় তুলাগাঁও গ্রামে অবস্থান করে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করে।

একই পরিবারের সদস্য যারা মাহফিলের পর পরই তাবারুক খেয়েছে, তারা আক্রান্ত হয়নি, পরদিন সকালে যারা খেয়েছে তারা সকলেই আক্রান্ত হয়েছে। এমনি অবস্থা লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন বাড়ির ৪/৫টি পরিবারে।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিজয় কৃষ্ণ সাহা বলেন, আমার ধারণা, পলিথিনে দীর্ঘ সময়ব্যাপী বেঁধে রাখা তাবারুক গরমের কারণে ব্যাকটোরিয়া আক্রমণ করে। এতে তাবারুক খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অনুপযোগী বাসী খাবার খাওয়ার কারণে ওইসব ব্যক্তি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

 

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

Share