Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশি ২১৬ পরিবার
home

কচুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশি ২১৬ পরিবার

দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দারিদ্র বিমোচনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় “যার জমি আছে ঘর নেই,তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মান” প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুরের কচুয়ায় ২শ’১৬টি গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে গৃহ নির্মাণ করা হয়।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যাদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর থাকলে ও তা বসবাসের অনুপযোগি এমন পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ১ লাখ টাকা করে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

আর বর্তমানে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কোথাও কোথাও গৃহ নির্মাণ শেষে উপকার ভোগী পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গৃহে বসবাস করে আসছে।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে ৮নং কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের উপকার ভোগী নিরীহ ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমার স্বামী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি এ গৃহ পেয়ে অনেক আনন্দিত বলে জানান। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানান।’

তার মতো আরো অনেকে বলেন,‘আমাদের আংশিক জমি থাকলেও গৃহ নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতি উদ্যোগে ও স্থানীয় সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় আমরা মাথা গোজার ঠাই পেয়েছি।’

কচুয়ায় “যার জমি আছে ঘর নেই,তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মান” প্রকল্পের আওতার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহ নির্মাণ ঠিকাদার ইউপি সদস্য মো: খাজা মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো প্রকার ত্রুটি না রেখেই প্রতিটি গৃহ নির্মাণের চেষ্টা করেছি। অপর দিকে ভিটি পাকাকরণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো: বিল্লাল হোসেন জানান, প্রতিটি ঘর নিজের ঘরের মতো ভেবে আন্তরিকতার সাথে পাকাকরণ করেছি।’

পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘আমার ইউনিয়নে ১৮টি ঘর পেয়েছি। যারা পাওয়ার উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করে ঘর গুলো দেয়া হয়েছে।’

কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আশেকুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মফিজ উদ্দিন মাসুদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘অন্য যে কোনো প্রকল্পের চাইতে গরীবদের মাঝে গৃহ নির্মান বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হবে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কচুয়ায় ২শ’১৬টি ঘর পেয়েছি। যা ইতিমধ্যে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পথে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ ক’টি ঘর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোনো অব্যবস্থাপনা লক্ষ করা যায়নি।’

তিনি আরো জানান, ‘কচুয়ার জন্যে পরবর্তীতে আরো ঘর বরাদ্দের জন্য তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে সকলেই ঘর বরাদ্দ পাবেন।’

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৯