চাঁদপুরের কচুয়ার উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামে ১০ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর এ নিয়ে শালিশ বৈঠক বসলে অভিযুক্ত যুবক লম্পট কাউসার আলম (৩২) বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ঘা ঢাকা দিয়েছে।
হয়রানির শিকার ওই শিশুর মা আমেনা বেগম বিচার চেয়ে স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
৭ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের প্রতিবন্ধী ১০ বছর বয়সী মেয়েকে বিস্কেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে লম্পট কাউসার আলম গত বুধবার সকালে তার ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই শিশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন হয়রানি করে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন বৃহস্প্রতিবার বিকালে ওই গ্রামের স্থানীয় মোড়লদের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠক হয়। শালিশে লম্পট কাউসার আলম ঘটনা স্বিকার করে এবং শালিশের রায় মেনে নেবে বলে স্বিকারোক্তি দেয়। পরে অভিযুক্ত কাউসার আলম বহিরাগত উশৃংখল যুবকদের নিয়ে মোড়লদের রায় প্রত্যাখান করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় অধিবাসী শফিকুল ইসলাম, মুখলেছুর রহমান ও মিজানুর রহমান জানান, কাউসার আলম ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করেছে। এবং এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। মেয়ের মা আমেনা বেগম জানান, আমি ঢাকায় কাজ করি। খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। এর আগেও আমার মেয়ে অভিযুক্ত কাউসার বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করেছে। আমি ২ ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে নিরুপায় অবস্থায় রয়েছি এবং আমার মেয়ের যৌন হয়রানিকারীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানান, লম্পট কাউছার আলম বর্তমানে পলাতক থেকে নামধারী কিছু লোক ম্যানেজ করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মেয়ের মা আমেনা বেগম ও তার পক্ষের লোকজনকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দিচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব জুয়েল বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুকে যৌন হয়রানীর বিষয়টি অমানবিক। তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বিষয়টি আমাকে অবগত করেননি। তারপরেও বলবো ঘটনা সত্যি হলে আমি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্লাহ (অলি) জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কচুয়া, ৭ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur