চাঁদপুর কচুয়ায় সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চড়া মূল্যের নোট-গাইড বিক্রি হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে শিক্ষা অর্জন যাতে ব্যহত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার ধনী-গরীব সকল শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা বছর শুরুর প্রথম দিনেই বই সরবরাহ করে আসছে।
অথচ অসাধু বই বিক্রেতারা নিষিদ্ধ নোট-গাইড বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এসব অসাধু বই বিক্রেতাদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থপর শিক্ষকরা মোটা অংকের কমিশন নিয়ে এসব নোট-গাইড পাঠ্য তালিকা করে উহা ক্রয় করতে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করছে।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে- বই বিক্রেতা তথা লাইব্রেরীয়ানদের কাছ থেকে বেশী কমিশন নিয়ে অতি নিম্নেমানর গাইড পাঠ্য তালিকা করেছে।
গাইডগুলোর দাম ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে স্বল্প কমিশনে অর্থাৎ ১০% থেকে ১৫% কমিশনে ওইসব গাইড ক্রয় করতে হয়।
কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর, রহিমানগর, পালাখাল ও সাচার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের লাইব্রেরিগুলোতে এখন নোট গাইডের সয়লাব। অসাধু লাইব্রেরীয়ানরা বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছে নোট-গাইডের রমরমা ব্যবসা। গরীব শিক্ষার্থীদের অভিভাবক চড়া মূল্যে এসব নোট গাইড খরিদ করতে তাদের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। অবস্থার দৃষ্টে মনে হচ্ছে- এ অবৈধ নোট-গাইডের ব্যবসা বন্ধ করতে কোন কর্তৃপক্ষ নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন,‘নোট-গাইডের পরিহার করার জন্যে বার বারই বলা হচ্ছে।’
এ ব্যপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ জানান, ‘নোট-গাইডের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার প্রামান্য তথ্য পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্টাফ করেসপন্ডেট
০৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৯