বুধবার ১৭ জুলাই প্রকাশিত এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় ফলাফলে চাঁদপুরের কচুয়ায় এইচএসসিতে পাসের ৯৫% ও আলিমে ৮৯% পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তন্মেধ্যে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৫ জন ও আলিম পরীক্ষায় ১ জন।
জানা গেছে, উপজেলার ৯ টি কলেজ থেকে মোট ২ হাজার ১শ ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাস করে ২হাজার ৫৬জন এবং আলিমে ১৩টি মাদ্রাসা থেকে ৪৯৭জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করে ৪শ ৪১জন।
ফলাফলের দিক থেকে এবারো উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে ড.মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ ।
এ কলেজে থেকে ১৭৪জন পরীক্ষা অংশগ্রহন করে শতভাগ পাস করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬২জন। ২য় স্থান অর্জন করে আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ। এ কলেজে থেকে ২৫৯জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে শতভাগ পাস করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ জন। চাঁদপুর এমএ খালেক স্কুল এন্ড কলেজ ১০১জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করে।
অপরদিকে উপজেলায় একমাত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে চৌমুহনী আলিম মাদ্রাসা হতে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
জেলায় শীর্ষে ড.মনসুরউদ্দিন মহিলা কলেজ
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চাঁদপুর জেলায় এবারো শীর্ষে রয়েছে ড.মনসুরউদ্দিন মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। শুধু তাই নয়, জেলার মধ্যে সর্বাধিক জিপিএ ৫ পেয়েছে এ কলেজের পরীক্ষার্থীরা। এতে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬২ জন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদে জানান,এদের মধ্যে বিজ্ঞানে ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন,ব্যবসা শিক্ষায় ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং মানবিকে ৬০ জনের মধ্যে ৭জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো.গোলাম হোসেন জানান, জেলা শহরের বাইরে মেয়েদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে-এমনটা তার কাছে গর্বের বিষয়। নারীদের শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ করার নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা শতভাগসহ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে এ বছরও উপজেলায় ও জেলা পর্যায়ে এগিয়ে রয়েছেন।
রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সন্তোষজনক ফলাফল
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৭ জুলাই প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে ২০১৯ সালে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন হয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ কলেজ থেকে ৪০৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মেধ্যে ৩৮০ জন শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে উত্তীর্ন হয়। শতকরা পাসের হার ৯৩.৮৩। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪জন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো.বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি ফোর বাস্তবায়নে অন্যতম মাধ্যম হলো শিক্ষা। শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে করা যাবে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ছাত্র,শিক্ষক,অভিভাবকদের সমন্বয়ে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করে আসছে। ভবিষ্যতে ও ফলাফলের ধারা ধরে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
জিসান আহমেদ নান্নু
১৭ জুরাই ২০১৯