চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের বড়দৈল গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলামের প্রধানের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
১৯ এপ্রিল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ আওয়ামীলীগ নেতা মো.ফারুকুল ইসলাম প্রধান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলামের সাথে ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েলের অনেক দিন ধরে দলীয় রাজনৈনিত মত-বিরোধ রয়েছে।
মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী বরাদ্ধকৃত চাল সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করা জন্য স্থানীয় অধিবাসী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. সালমান চৌধুরী কাইয়ুম তার নিজ ফেসবুকে আইডিতে ‘করোন ভাইরাসের কারনে প্রতিটি ইউনিয়নে কত বস্তা ত্রান চাউল আসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে দেওয়া একান্ত কাম্য’ দাবী করে একটি স্ট্যাটাস দেয়।
এ নিয়ে শনিবার ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ওই ছাত্রলীগ নেতা সালমান চৌধুরী কাউয়ুম সাথে বাকবিতন্ড হয়। পরে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল একই গ্রামের অপর ছাত্রলীগের সদস্য মো.মাহমুদুল হাসানের তাকে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং মারধর করে বলে স্থানীয় ভাবে গুঞ্জন উঠে।
এ ঘটনায় পরদিন আজ সকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের কাছে তার চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসানকে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে পুনরায় দু’পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। পরে চেযারম্যানের পক্ষে বহিরাগত লোকজন এসে ফারুকুল ইসলামের উপর হামলা, বাড়ী ঘর ও দোকান ভাংচুর করেন।
হামলায় গুরুতর আহতরা হচ্ছেন: ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হাসান, মো.জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. কামরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহীদ উল্যাহ প্রধান, শিরিনা বেগম ও চেয়ারম্যান পক্ষের ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো.চাঁন মিয়া প্রমুখ।
খবর পেয়ে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আবু হানিফ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পাথৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল আমার চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসানকে তুচ্ছ ঘটনায় শনিবার বিকেলে মারধর করেন। এতে আমি বিচার চাইলে রবিবার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার বহিরাগত লোকজন আমাকে মারধর, বাড়ী ও দোকান ভাংচুর করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
তবে হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে, ইউপি চেয়য়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, হামলাকারীরা অন্যদলের লোকজন। আমার সম্পর্কে ফেইসবুকে লিখায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১৯ এপ্রিল ২০২০