বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে বিসমিল্লাহ মুরগি হাউজ নামে পল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন কচুয়ার মাহবুব। গত কয়েকদিন পূর্বে ফার্মে তোলেন স্বপ্ল পরিসরে ৫ শতাধিক মুরগির বাচ্চা। ওই সব বাচ্চা বড় হয়ে ৫ মাস পরেই ডিম দিবে। সেই ডিম বিক্রি করে ঋণের কিস্তিসহ চলবে তার সংসারের চাকা।
এ স্বপ্ন দেখছিল মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী মাহবুব আলম। মাহবুবের সেই বোনা স্বপ্ন শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতরোগে প্রায় ২শ’ শতাধিক মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ায় সবকিছু তছনছ হয়ে গেল।
মাহবুব আলম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মাহবুব আলম বলেন, লেখা পড়ার পাশাপাশি ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্বল্প পরিসরে এই মুরগির হাউজটি করেছি। তবে ক্রমান্বয়ে বড় পরিসরে করার চিন্তা রয়েছে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে মুরগির বাচ্চাদের পরিচচর্যা করে চলে যাই।
পরদিন শুক্রবার সকালে এসে দেখি অজ্ঞাত রোগে প্রায় ২শ’ মুরগির বাচ্চা মারা যায়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে সহায়তা পেলে আবারো পূনরায় বড় আকারে ফার্মটি চালু করা হবে।
স্থানীয় শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন,পড়াশুনার পাশাপাশি মাহবুব আলম স্বল্প পরিসরে ফার্মটি গড়ে তুলেছেন। তবে অজ্ঞাত রোগে ২শ মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ায় তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস অথবা কোন ব্যক্তিবর্গ তাকে সহযোগিতা করলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি পূনরায় দাড়াতে পারনে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,৪ সেপেটম্বর ২০২০