চাঁদপুর

কচুয়ার ধর্ষিতা শিশুর পাশে এসপি শামসুন্নাহার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৭ বছর বয়সী ধর্ষিত শিশুকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম।

তিনি রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে গিয়ে ধর্ষিত শিশুর শয্যা পাশে গিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন, এবং ঘটনার সম্পর্কে জানেন।

এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালী উল্ল্যাহ অলি, এস ত্রিনাথ সাহা,কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান, ওসি তদন্ত হুমায়ন কবির, এস আই কেশব চন্দ্র চৌধুরীসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায় শনিবার সকালে কচুয়া উপজেলার লন্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামেন দিয়ে ৭ বছর বয়সী শিশু মুক্তব থেকে আরবী পড়ে যাওয়ার সময় মোঃ জাফর ওরফে আঃ কাদির নামে এক বখাটে যুবক তাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণকারী যুবক চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের গনি মাস্টার বাড়ির রফিক গাজীর ছেলে।

ধর্ষণের বিষয়টি শিশু তার মাকে জানালে শিশুর মা ওইদিনই কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কেশব চন্দ্র চৌধুরী জানান, ‘শনিবার সকালে কচুয়া উপজেলার লন্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামেন দিয়ে ৭ বছর বয়সী শিশু মক্তব থেকে আরবি পড়ে যাওয়ার সময় মো. জাফর ওরফে আঃ কাদির নামে এক বখাটে যুবক তাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে শিশুর মা কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এলাকার লোকজন তাকে আটক করলে রাত ৮ টার সময় রহিমা নগর বাজারের জনতা ব্যাংকের সামনে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে রোববার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

হাসপাতালে শিশুকে দেখতে গিয়ে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় অভিবাবকরা শিশুদের প্রতি ততোটা গুরত্বসহকারে খোঁজ খবর রাখছেন না। দেখা যায়, যাদের ১৫/১৬ বছর মেয়ে রয়েছে তারা তাদের প্রতিই বেশি নজর রাখছেন। শিশুদের প্রতি অভিবাকদের গুরত্ব কম থাকায় এসব অপরাধীরা শিশুদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সাথে এসব ঘটনা ঘটাতে সুযোগ পায়। এজন্য প্রত্যেক অভিবাবকদেরকে শিশুদের প্রতি আরো যতœবান ও সচেতন হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ওইদিনই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি, এবং সেদিনই আমরা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আদালতে সোর্পদ কারার পর সে ধর্ষণের ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আইনের আওতায় রেখে আমরাও তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোন লোক এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে।

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ ৮: ১০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share